কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।। ঈদ-পরবর্তী সরকারি ছুটিকে কেন্দ্র করে পর্যটক বরণে প্রস্তুত করা হয়েছে সূর্যোদয় সূর্যাস্তের বেলাভ‚মি ‘সাগরকন্যা’ খ্যাত কুয়াকাটাকে। বাহারি সাজে সাজানো হচ্ছে আবাসিক হোটেল-মোটেলগুলোকে। পর্যটন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো স্থান পাচ্ছে নানাবিধ নতুন নতুন বাহারি পণ্য। সৈকতের ছাতা-বেঞ্চে লেগেছে নতুনত্বের ছোঁয়া। প্রকৃতি যেন হাত ছানি দিয়ে ডাকছে পর্যকদের। ইতোমধ্যে অধিকাংশ হোটেল-মোটেলে আগাম বুকিং শুরু হয়ে গেছে। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের ছুটিতে ব্যাপক পর্যটকদের আগমন ঘটবে। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফের আগের মত প্রাণ খুঁজে পাবে কুয়াকাটার সৈকত, হাসি ফুটবে সকল ব্যবসায়ীদের এমটাই আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পুরো রমজান মাস জুড়েই পর্যটক শূন্য ছিল। ঈদুল ফিতরের বেশ বড় ছুটিকে কেন্দ্র করে ভ্রমণ পিপাসুরা ছুটে আসবেন কুয়াকাটায়। এবারের ঈদে ব্যবসা-বাণিজ্য গতি পাবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যেই রাখাইন মহিলা মার্কেট, ঝিনুক মার্কেট, ঝাউবন, শুঁটকিপল্লী, রাখাইন পল্লী, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, মিশ্রিপাড়া সীমা বৌদ্ধ মন্দির, গঙ্গামতির লেক, লাল কাকড়ার চর, লেম্বুর বন, তিন নদী মোহনা, ফাতরার বন, কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যানসহ দর্শনীয় স্পটগুলো পরিপাটি করা হয়েছে। এছাড় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে দীর্ঘ সৈকত। আগত পর্যটকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ও সেবা দিতে প্রস্তুুতি নিয়েছে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পৌর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে একাধিক হোটেল মোটেল কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করলে তারা জানান, ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে ফোনে কিংবা অনলাইনে আগাম রুম বুকিং হচ্ছে। তারা আশা করেন, বাকি দিনগুলোতে পুরোপুরি বুকিং পাবে।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা টোয়াক’র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আবুল হোসেন রাজু জানান, পবিত্র মাহে রমজান মাসে পর্যটক না থাকায় হোটেল বন্ধ ছিলো। তবে ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের ব্যাপক চাপ থাকবে। তাই আগে ভাগেই হোটেল-মোটেলগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন সহ সার্বিক কাজগুলো সেরে নিয়েছে মালিকরা। এছাড়া সৈকতে দীর্ঘদিন পর্যটক কম থাকায় পুরো সৈকতে তৈরি হয়েছে ভিন্নতা। প্রকৃতি যেন তার সৌন্দর্যের ডানা মেলে দিয়েছে।
হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যসোসিয়েশনের সভাপতি মোতালেব শরিফ আশাবাদ ব্যাক্ত করে বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিকে কেন্দ্র করে কুয়াকাটায় অনেক ট্যুরিস্টের আগমন হবে। ইতিমধ্যেই হোটেল মোটেল গুলোতে আগাম বুকিং চলছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের ইনচার্জ শাখাওয়াত হোসেন তপু জানান, আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন পর্যটন স্পট গুলোতে টহলে থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম। পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা দ্বারা মনিটরিং করা হবে।
কুয়াকাটা সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, পর্যটকের সেবায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকল প্রস্তুতি রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :