রামপুরা, হাতিরঝিল ও ভাটারা এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ঢাকা-১১ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন নাহিদ ইসলাম। এনসিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এ আসনেই তার বসবাস। ইতোমধ্যে দলটির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন এক হাজার ৪৮৪ জন।
তবে জুলাই আন্দোলন থেকে গড়ে ওঠা আলোচিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান নাহিদ ইসলাম নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা বললেও এখন পর্যন্ত তিনি নিজে গণসংযোগ করছেন না। নির্বাচনি এলাকায় তার পক্ষে নেই দৃশ্যমান কোনও প্রচারণা। এ নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। সাংগঠনিক ও নাহিদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তেই গণমাধ্যমে আলাদাভাবে বিষয়টি ফলাও করা হয়নি বলে জানান দলটির একাধিক নেতা।
এনসিপির সদস্য সচিব আখতারসহ সারা দেশে দলটির সম্ভাব্য প্রার্থীরা ব্যাপক প্রচারণা চালালেও এ ক্ষেত্রে নাহিদের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ নির্বাচনি এলাকায় তার দৃশ্যমান তৎপরতা নেই। এ নিয়ে দলের মাঠ পর্যায়েও নানা আলোচনা হচ্ছে বলে জানা গেছে। যদিও এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের দাবি- নাহিদ নির্বাচন করবেন এটি শতভাগ নিশ্চিত। তবে তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তেই প্রচারণায় জোর দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব বলেন, ‘নাহিদ ইসলাম অবশ্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। তার সম্ভাব্য আসন ঢাকা-১১। তিনি নীরবে নির্বাচনি কাজ করছেন। তবে তিনি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তেই প্রচারণার বিষয়টি এখনই গণমাধ্যমে আনতে রাজি হননি। আর বিলবোর্ড বা পোস্টারে প্রচারণাকেও তিনি নিরুৎসাহিত করেন।’
আরিফুল ইসলাম আদিব জানান, মূলত তিনি (নাহিদ) চান তার দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা আগে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করুক। দলের প্রধান হয়ে আগেই নিজে প্রচারণায় নামলে নেতাকর্মীদের মধ্যে ভুল বার্তা যেতে পারে বলে তার ধারণা।
এনসিপি কেন্দ্রীয় নেতাদের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে দলীয় উদ্যোগেই। মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের ছবিও প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু দলীয় প্রধান নাহিদ ইসলামের মনোনয়ন নেওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
রামপুরা, হাতিরঝিল, বাড্ডা, ভাটারা এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের ২১, ২২, ২৩, ৩৭, ৩৮, ৩৯ ৪০, ৪১ ও ৪২ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ঢাকা-১১ আসন। এ আসন থেকে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ছাড়াও অন্যান্য কয়েকটি দলের প্রার্থিতা ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। তারা ব্যাপক গণসংযোগ ও প্রচারণা চালাচ্ছেন।
তাদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র ঋণবিষয়ক সম্পাদক এম এ কাইয়ুম, জামায়াতের শ্রমিক সংগঠন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান ও চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফজলে বারী মাসুদ।

আপনার মতামত লিখুন :