গুমের মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক ও বর্তমান ২৫ জন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তবে এখনো ওয়ারেন্টের কপি সেনাসদরে পৌঁছেনি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান। সেনাসদরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “অভিযুক্তদের মধ্যে ৯ জন অবসরে রয়েছেন। ইতোমধ্যে অবসরপ্রাপ্ত একজনসহ মোট ১৫ জনকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।”
মেজর জেনারেল হাকিমুজ্জামান জানান, সেনাবাহিনী আদালতের রায় ও নির্দেশনা মেনে চলবে। তিনি বলেন, “আমরা বিষয়টি প্রথমে টিভি স্ক্রল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পারি। এরপরই সেনাসদর থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে ১৫ জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, “যখন তারা সেনাবাহিনীতে ছিলেন, তখন এসব অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। বিভিন্ন বাহিনীতে দায়িত্ব পালনের সময় তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠে।”
আইনি ব্যাখ্যা প্রয়োজন উল্লেখ করে মেজর জেনারেল হাকিমুজ্জামান বলেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়ে বিস্তারিত আইনি ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে। আগামী ২২ অক্টোবর হেফাজতে থাকা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করার বিষয়ে আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
তিনি আরও জানান, মেজর জেনারেল কবির না জানিয়ে অবৈধভাবে ছুটিতে গেছেন। “এয়ারপোর্টসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে—তিনি যেন দেশত্যাগ করতে না পারেন,” বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, যারা গুম হয়েছেন, তাদের প্রতি সেনাবাহিনী সহানুভূতিশীল এবং সব ধরনের অপরাধের বিচারের পক্ষে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে সেনাবাহিনী।
আপনার মতামত লিখুন :