নারী ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা বাংলাদেশ। টানা দুবার সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সাবিনা খাতুনের দল। তাই বিদেশি লিগেও কদর বাড়তে শুরু করেছে নারী ফুটবলারদের। সেই ধারাবাহিকতায় প্রথমবারের মতো ভুটানের নারী ফুটবল লিগে খেলার ডাক পেয়েছেন বাংলাদেশের ৬ নারী ফুটবলার।
আগামী ১৫ এপ্রিল শুরু হতে যাওয়া ভুটান নারী ফুটবল লিগে আগেই নাম লিখেছেন ডিফেন্ডার মাসুরা পারভীন ও গোলরক্ষক রুপ্না চাকমা। দুজনেই খেলবেন ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডের হয়ে। তাদের পর এবার নাম লেখালেন আরও ৪ ফুটবলার। পারো এফসির হয়ে মাঠ মাতাবেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, সাফের সেরা ফুটবলার ঋতুপর্না চাকমা, সুমাইয়া ও মনিকা চাকমা।
ভুটানের লিগে খেলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেন, ‘আগামী ৬ এপ্রিল আমরা ভুটানের উদ্দেশ্যে রওনা হব। ফেডারেশনের ক্লিয়ারেন্স, নিবন্ধনসহ সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।’
পারো এফসিতে বাংলাদেশের চার ফুটবলারের চুক্তি চার মাসের। আর এই সময়ে প্রত্যেকেই প্রতি মাসে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় লাখ টাকা সম্মানী পাবেন।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কয়েকজনের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন নিলয় বিশ্বাস। তিনিই মূলত ভুটানে সাবিনাদের খেলার বিষয়টি দেখভাল করেছেন। তিনি সাবিনাদের চুক্তি ও ভুটানের লিগে খেলার বিষয়ে বলেন, ‘ঢাকা থেকে থিম্পু আসা-যাওয়া এবং সেখানকার সকল ব্যয়ই ক্লাবের। প্রায় চার মাস ধরে লিগ হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় দলের টুর্নামেন্ট বা খেলা থাকলে ফিফার আইন অনুসারে ক্লাব তাদের ছাড়বে।’
এর বাইরে ট্রান্সপোর্ট উইনাইটেডে জুনিয়র ফুটবলার সাগরিকারও খেলার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মাসুরা পারভীন, ‘আমাদেরও ৬ এপ্রিল যাওয়ার কথা রয়েছে। আমাদের ক্লাবে সাগরিকার খেলা নিয়ে আলোচনা চলছে।’
উল্লেখ্য, এশিয়া কাপ বাছাইয়ের জন্য আগামী ৬ এপ্রিল থেকে ক্যাম্প শুরু করবে বাফুফে। ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারের অধীনে হওয়া এই ক্যাম্পে ডাক পেয়েছেন কদিন আগে বিদ্রোহ করা এই ফুটবলাররাও। যে কারণে এই ফুটবলাররা এখন ভুটানে চলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে ভেবে স্বস্তিতেই থাকার কথা বাফুফে ও কোচ পিটার বাটলারের।
আপনার মতামত লিখুন :