জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি এখন পুরোপুরি নির্বাচনী প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি নভেম্বরের প্রথমার্ধেই অন্তত ২০০ আসনে একক প্রার্থী ঘোষণা করতে পারে দলটি। এর আগে অক্টোবর মাসের মধ্যেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরিকল্পনা ছিল। তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও কিছু কৌশলগত কারণে তা পিছিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ বলেন, “অক্টোবরের শেষ দিকে প্রার্থী চূড়ান্ত করার কথা ছিল, সেটা হয়নি। এখন শরিক দলগুলোর কাছ থেকেও তালিকা চাওয়া হয়েছে, সেটি সম্পন্ন করতেই কিছুটা সময় লাগছে।”
দলের একাধিক নেতা মনে করেন, সম্প্রতি জুলাই জাতীয় সনদ ও গণভোট ইস্যু ঘিরে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তা কোনো একটি গোষ্ঠীর পরিকল্পিত পদক্ষেপ হতে পারে। তাদের দাবি, কিছু রাজনৈতিক দল ছাড়াও সরকারের ভেতরের প্রভাবশালী মহলেরও এতে ভূমিকা থাকতে পারে। তবে তারা বলেন, বিএনপি কোনো উসকানিতে পা দেবে না এবং আপাতত কোনো আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়ার পরিকল্পনাও নেই।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার ও ঐকমত্য কমিশন ইস্যুতে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা অবশ্যই কেটে যাবে। এই দেশের মানুষ কখনও পরাজয় মেনে নেয়নি, এবারও নেবে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা অত্যন্ত কঠিন এক সময় অতিক্রম করছি। এটা আমাদের ধৈর্য ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরীক্ষা। বিএনপি সংযম বজায় রেখে চলবে। জুলাই জাতীয় সনদ ও তার বাস্তবায়ন নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, তার অবসান ঘটিয়ে নির্বাচন আয়োজনের দিকে অন্তর্বর্তী সরকার মনোযোগী হবে বলে আশা করি।”
অন্যদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গত অক্টোবরেই জানান, অন্তত ২০০ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করে রাখা হয়েছে। তবে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দেওয়ায় ঘোষণার সময় পিছিয়ে যায়।
দলীয় সূত্র বলছে, নভেম্বরের প্রথমার্ধের যেকোনো দিনেই একক প্রার্থী ঘোষণা হতে পারে। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, আগামী সোমবার স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পরই প্রার্থীদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়া হতে পারে।

আপনার মতামত লিখুন :