কফির দেশ হবে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:০৫ দুপুর

কাজুবাদাম এবং কফি চাষকে বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে চান বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। তিনি বলেছেন, সিলেটকে আমরা যেভাবে চায়ের জন্য বিখ্যাত বলি, সিলেটের নাম শুনলে মনে হয় যেন চায়ের দেশ। আমরা চাই যে এখানে কফির দেশ যেন হয়। তিন পার্বত্য জেলা মিলে আমরা একটি কফি অঞ্চল যেন বানাতে পারি।

গতকাল শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাঙামাটিতে আয়োজিত একটি সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মাইনী হলরুমে ‘বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও বৌদ্ধ সংস্কৃতি বিকাশে করণীয়’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। মোনঘরের ব্যবস্থাপনায় সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট।

অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডকে দিয়ে কাজুবাদাম ও কফির চাষ ছড়িয়ে দেওয়ার কাজটি করানোর চেষ্টা চলছে বলে জানান উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। প্রতিষ্ঠানটি চাষাবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার কাজটি করতে না পারলে পরে কৃষি বিভাগকে দিয়ে করানো হবে বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ১৯৬০ সালে কাপ্তাই বাঁধের মাধ্যমে পার্বত্য এলাকার মানুষের যে ক্ষতি হয়েছে তা ভুলে গিয়ে সম্ভাবনাময় কাপ্তাই হ্রদকে কাজে লাগাতে হবে। কাপ্তাই হ্রদে মাছ চাষে অপার সম্ভাবনা রয়েছে।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান ভবেশ চাকমা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বোর্ডের ট্রাস্টি রাজিব কান্তি বড়ুয়া। মুখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপমন্ত্রী মনি স্বপন দেওয়ান, মং সার্কেলের প্রধান রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন শ্যামল মিত্র চাকমা।

Link copied!