কলাপাড়ায় বিস্তৃত মাঠ জুড়ে সূর্যমুখী ফুলের সমারোহ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৫ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:৩৪ রাত

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।। দূর থেকে তাকালেই মনে হয় প্রকৃতি যেনো বিশালাকৃতির হলুদ গালিচা বিছিয়ে রেখেছে। কাছে আসলেই দেখা যাবে নীল আকাশের নিচে সূর্যমুখী ফুলের মায়াবী রূপ। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিস্তৃত মাঠের পর মাঠ জুড়ে পরিপক্ক ফুলের সমারোহ। যে দিকে চোখ যায় সেদিকেই হলুদের ছড়াছড়ি।

যেন চোখ জুড়ানো মনোমুগ্ধকর এক অপরূপ সৌন্দর্য। কম খরচে অধিক ফলন ও লাভবান হওয়ায় কৃষকরাও সূর্যমুখী চাষে ঝুঁকে পরেছেন। এ বছর এ উপজেলার লবনাক্ত জমিতে সূর্যমুখী ফুলের আবাদ হয়েছে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। পতিত জমিতে সূর্যমুখীর চাষে সফলতা এসেছে। ফলে উৎকৃষ্ট মানের তেলের চাহিদা পূরণ করে বাজারজাত করার অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।

কৃষকরা জানান, প্রতি বিঘা জমিতে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা তাদের খরচ হয়েছে। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলে উৎপাদন ভালো হবে। তবে স্থানীয়ভাবে এ বীচ থেকে তৈল উৎপাদনের সুযোগ থাকলে আরও লাভবান হবেন বলে সূর্যমুখী চাষীরা জানান।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ উপজেলায় ১৮’শ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করা হয়েছে।  বারি, সূর্যমুখী-২ এবং হাইসান ৩০ এসব জাতের চাষ করা হয়। এর মধ্যে হাইসান ৩০ সবচেয়ে বেশি। আর এই লবনাক্ত জমিতে সূর্যমুখীর উৎপাদন ভালো হয়েছে। 

কৃষক মো. ইউসুফ আলী বলেন, একটা সময় আমন ধানের পর আর কোন ফসল উৎপাদন করতাম না। গত দুই বছর ধরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের পরামর্শে লবন সহিষ্ণু সূর্যমূখী চাষ শুরু করেছি। কৃষক আবুল কালাম বলেন, সে এ বছর ৫ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ করেছি। বিগত বছর থেকে বাম্পার ফলন হয়েছে। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.আরাফাত হোসাইন সাংবাদিকদের জানান, কৃষকরা সূর্যমুখী চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছে। তবে এখানকার খাল খনন করে পানি রাখা গেলে আরো আগ্রহ বাড়বে কৃষকদের মাঝে। তবে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় কমবেশি এ সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে।

Link copied!