রমজান মাসে দীর্ঘ সময় ধরে পানি পান থেকে বিরত থাকতে হয়, যা অনেকেই পানিশূন্যতা এবং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে। বিশেষত গরমের দিনে রোজা রাখলে পানিশূন্যতা হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। তবে কিছু সতর্কতা এবং কার্যকরী উপায় অনুসরণ করে রোজায় পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
পানিশূন্যতা হলে শরীরে কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে, যেমন: মুখ বা ত্বক শুষ্ক হওয়া, মাথা ঘোরা, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি। এসব সমস্যা পরবর্তীতে নানা জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে। তাই চলুন, জেনে নিই রোজায় পানিশূন্যতা থেকে বাঁচতে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে:
১. ইফতার ও সেহরির মধ্যে পর্যাপ্ত পানি পান করুন:
ইফতার এবং সেহরির মধ্যে ৮ থেকে ১২ কাপ পানি পান করার চেষ্টা করুন। তবে ঠাণ্ডা পানির পরিবর্তে হালকা গরম পানি পান করা ভালো, কারণ এটি শরীর দ্রুত শোষণ করতে পারে।
২. প্রতিদিন স্যুপ খান:
স্যুপ শরীরে তরলের চাহিদা পূরণের একটি ভালো উৎস। এটি পানিশূন্যতা এড়াতে সাহায্য করতে পারে, তাই ইফতারে স্যুপ অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করুন।
৩. পানি সমৃদ্ধ ফল ও সবজি খান:
তরমুজ, টমেটো, শসা, আঙুরের মতো ফল ও সবজি শরীরে পানি সরবরাহ করে, যা তৃষ্ণা কমাতে সাহায্য করে। এগুলো খেলে শরীরের হাইড্রেশন বজায় রাখা সহজ হয়।
৪. উচ্চ মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন:
ইফতারে বেশি মসলাযুক্ত খাবার খেলে শরীরের পানির চাহিদা বাড়ে। তাই এসব খাবার এড়িয়ে চলুন এবং সালাদ ও তরকারিতে লবণ কম দিন, কারণ বেশি লবণ তৃষ্ণা বাড়িয়ে দেয়।
৫. মিষ্টি খাবার এড়িয়ে ফল খান:
মিষ্টি খাবার তৃষ্ণা বাড়াতে পারে। এর পরিবর্তে, তাজা ফল খেতে পারেন, যা শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি তৃষ্ণা কমাতেও সাহায্য করে।
৬. ক্যাফেইন এবং ধূমপান এড়িয়ে চলুন:
ক্যাফেইন শরীরের তরল শুষে নেয় এবং তৃষ্ণা বাড়ায়, তাই চা, কফি বা এনার্জি ড্রিঙ্কস থেকে দূরে থাকুন। ধূমপানও মুখকে শুষ্ক করে তৃষ্ণা বাড়ায়, তাই রোজায় ধূমপান না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
৭. গরমে ব্যায়াম করবেন ইফতারের পর:
গরমের দিনে সূর্যতাপে ব্যায়াম করলে প্রচুর পরিমাণে পানি পানের প্রয়োজন হয়। তাই রোজায় ব্যায়ামের জন্য ইফতারের পর সময়টি সবচেয়ে উপযুক্ত, কারণ ইফতার থেকে শরীরের শক্তি ও পানির চাহিদা পূর্ণ হয়।
আপনার মতামত লিখুন :