হারিয়ে যাওয়া মুন্নিকে ৩৩ বছর পর খুঁজে পেলেন মা
প্রকাশিত : ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

হারিয়ে যাওয়া সাত বছরের শিশু মুন্নিকে দীর্ঘ ৩৩ বছর পর ফিরে পেল তার পরিবার। মুন্নি নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার মৃত মুনছের আলী ও নাজমা বেগমের মেয়ে। ৩৩ বছর আগে লালপুর উপজেলায় নানা বাড়ি বেড়াতে গিয়ে হারিয়ে যায় মুন্নি। সেই সন্তানকেই গত ২৫ জানুয়ারি ফিরে পেয়েছে তার পরিবার। নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার পাকা ইউনিয়নের সলইপাড়া গ্রামের মৃত মুনছের আলী ও নাজমা বেগমের মেয়ে মুন্নি। ১৯৮৬ সালে পার্শ্ববর্তী লালপুর উপজেলার আব্দুলপুর মিলকিপাড়া গ্রামে মায়ের সঙ্গে নানা বাড়ি বেড়াতে গিয়ে হারিয়ে যায় ৭ বছরের শিশু মুন্নি। তখন থেকেই শিশু সন্তানকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পাননি তার পরিবার।
শিশু মুন্নি হারিয়ে যাওয়ার পর নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর স্কুলের পাশে নির্জনে বসে থাকতে দেখে স্থানীয় একজন। এরপর ওই শিশুকে নিয়ে যান এলাকার চেয়ারম্যানের কাছে। এর পর তৎকালীন গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মৃত মাহাবুদ্দিন আহম্মেদ সাধু পরিচয় হীন শিশু মুন্নির দায়িত্ব নেন এবং তার নাম রাখেন আছিয়া। এরপর লালন-পালন করে শিশু আছিয়া বড় হলে একই এলাকার বাহার উদ্দিনের ছেলে সোনালী ব্যাংকে কর্মরত আমিরুলের সঙ্গে বিয়ে দেন। এখন তাদের সংসারে দুটি পুত্র সন্তান সাজেদুল ইসলাম সাজু এবং রাজীবুল ইসলাম। কিছুদিন পূর্বে আগে আত্মীয়ের মাধ্যমে মুন্নির খোঁজ পান তার পরিবার। চোখের পাতার নিচে তিল, হাতে পোড়া দাগ দেখে মাসহ আত্মীয় স্বজনরা মুন্নিই যে তাদের হারিয়ে যাওয়া মেয়ে সেটা শনাক্ত করেন।
মুন্নি ওরফে আছিয়া জানান, দীর্ঘ ৩৩ বছর পর আমার মা ও পরিবার আমার চোখের পাতার নিচে তিল হাতে পোড়া দাগ এবং কপালে দাগ দেখে আমিই যে তাদের হারিয়ে যাওয়া মুন্নি সেটা প্রমাণ করেছে। আমি আমার পরিবারকে পেয়ে আনন্দিত, অনেক খুশি। মুন্নির মা নাজমা বেগম বলেন, আমার সন্তানকে পেয়ে আমিসহ আমার পরিবার অনেক খুশি। মুন্নির স্বামী আমিরুল জানান, আমার স্ত্রী তার পরিবারের সন্ধান না পেয়ে, অনেক কষ্টে ছিল। এখন তার চোখে মুখে আনন্দ দেখে আমি অনেক খুশি।আমিরুল আরো জানান, ২৫ জানুয়ারি তিনি এবং তার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। দু’দিন থেকে আবার নিজ বাড়ি লালপুর উপজেলার গোপালপুরে ফিরে এসেছেন। সময় পেলেই তিনি সন্তানদের নিয়ে শ্বশুর বাড়ি যাবেন।