বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ
প্রকাশিত : ৩০ জানুয়ারি ২০২০

জানান। দেশের উন্নয়নে সরকার সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এ সকল উদ্যোগ প্রশংসার দাবীদার বলে তিনি মনে করেন। iDEA প্রকল্পের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) সৈয়দ মজিবুল হক বলেন যে, আমরা চাই আমাদের দেশের সমস্যা আমাদের ছেলেমেয়েরা সমাধান করবে। আমরা চাই আমাদের ছাত্ররা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নেতৃত্ব দিবে। বাংলাদেশের ছেলেমেয়েদের স্টার্টআপ গঠনে এবং ফান্ডিং এর ক্ষেত্রে সকল প্রকার সহায়তায় পাশে থাকবে iDEA প্রকল্প। এছাড়া উপস্থিত তরুনদের হ্যাকাথনে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করেন iDEA প্রকল্পের পরিচালক।
অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন, ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড অন্ট্রপ্রিনিউরশীপ সেন্টার এর ভাইস চেয়ারম্যান ড. খন্দকার বজলুল হক তার বক্তব্যে বলেন যে, সরকারের সাথে একাডেমিয়ার সংযোগ বাস্তবায়িত হচ্ছে যা প্রশংসাজনক। আমাদের ১ম শিল্প বিপ্লব সফল না হলে ২য় শিল্প বিপ্লব আসত না। ১ম, ২য় ও ৩য় শিল্প বিপ্লবের ক্ষেত্রে আমরা যেমন সফলতা পেয়েছি ঠিক অপরদিকে আমাদের অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতিও হয়েছে। ৪র্থ শিল্প বিপ্লব পৃথিবীকে সমৃদ্ধির দিকে নিবে এবং ক্ষতির দিক কমিয়ে আনবে। সরকার ৪র্থ শিল্প বিপ্লবকে গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তা সত্যিই ভালো সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন যে, আমরা Hardwork করি কিন্ত আমাদের Smart Work করতে হবে। তিনি ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড নিয়ে আলোচনা করেন। তরুনদের উদ্দেশ্যে তিনি জানান আজকের যে ডিভিডেন্ড নিয়ে কথা হচ্ছে তার জন্য আমাদের সময় আছে মাত্র ১৫ বছর। তরুনদের একসাথে কাজ করতে হবে। প্রযুক্তির শিক্ষা মহৌষধ হিসেবে কাজ করবে। দেশকে সমৃদ্ধের পথে এগিয়ে নিতে তিনি তরুনদের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন, ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড অন্ট্রপ্রিনিউরশীপ সেন্টার এর নির্বাহী পরিচালক রাশেদুর রহমান। তিনি বলেন যে, কোন প্রকল্প বা উদ্যোগ ছোট থেকেই শুরু হয়। তাই উদ্যোগ বাস্তবায়নে অবশ্যই মনোযোগী হতে হবে। বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক সাথে কাজ করতে পারলে অনেক ভালো করা যাবে। পৃথিবীতে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু যে কোন উদ্যোগ বাস্তবায়নে যোগ্য সিইও এরও প্রয়োজন আছে। আমাদের প্রফেশনাল সিইও দরকার আছে। ইনোভেশন, ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড অন্ট্রপ্রিনিউরশীপ সেন্টার এবং “উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমী প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প (iDEA)” উভয়েরই লক্ষ্য প্রায় এক। গবেষনামূলক কার্যক্রম, স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষনসহ বিভিন্ন বিষয়ে ইনোভেশন, ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড অন্ট্রপ্রিনিউরশীপ সেন্টার ও iDEA প্রকল্প একসাথে কাজ করার সুযোগ থাকবে বলে তিনি জানান।
এর আগে হ্যাকাথন সম্পর্কিত একটি কি-নোট উপস্থাপন করেন iDEA প্রকল্পের সিনিয়র পরামর্শক আর এইচ এম আলাওল কবির। পরে উপস্থিত তরুণরা হ্যাকাথনের প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উক্ত ক্যাম্পেইনে প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন, ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড অন্ট্রপ্রিনিউরশীপ সেন্টার এর ভাইস চেয়ারম্যান ড. খন্দকার বজলুল হক উপস্থিত সকলকে নিয়ে “নিরাপদ সোশ্যাল মিডিয়া” বিষয়ক একটি শপথ পাঠ করেন।
আগামী ২৮-২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখ ঢাকার ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)-তে সেরা ৫০ টি টিম নিয়ে আয়োজিত হবে হ্যাকাথন এবং পরবর্তীতে সেরা ১০ টি টিমকে চূড়ান্ত বিজয়ী ঘোষনা করা হবে। হ্যাকাথনে অংশ নিতে আবেদন করা যাবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখ পর্যন্ত। এই হ্যাকাথনটি আয়োজন করতে সহোযোগিতায় আছে “বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশন” ও “টেক মাহিন্দ্রা লিমিটেড (TechM)”। হ্যাকাথনের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে স্টার্টআপ বাংলাদেশ- iDEA প্রকল্পের ওয়েবসাইট www.startupbangladesh.gov.bd -এ।