ভেকুর রাজত্বে ধ্বংস হচ্ছে সিড্যার ফসলি জমি

প্রকাশিত : ৩১ জানুয়ারি ২০২০

মোঃ ওমর ফারুক, শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ, ডামুড্যা, গোসাইরহাট, সখিপুর সহ বিভিন্ন উপজেলায় শত শত একর ফসলি জমি কেঁটে পুকুরে রুপান্তরিত করা হচ্ছে। প্রশাসনের শত চেষ্টার পরও একটি প্রভাবশালী চক্র অব্যহত রয়েছে এবং প্রতিনিয়তই চলছে এ ধ্বংসযজ্ঞ। ফলে এ অঞ্চলের ফসলি জমির পরিমান অভাবনীয় হারে কমতে শুরু করেছে। হুমকিতে পড়ছে পুরো জেলার খাদ্য নিরাপত্তা। বেকার হয়ে পড়ছে শত শত বর্গা চাষী ও মাঠ শ্রমিকরা।

গত শুক্রবার (৩১শে জানুয়ারি) সাংবাদিক মোঃ ওমর ফারুক পুরো সিড্যা গ্রামটা ঘুরে বেশ কিছু ফসলী ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে পান। সিড্যার দু একটি বিল ছাড়া সকল বিলেই গড়ে উঠছে মাছচাষের পুকুর বা দিঘী। স্থানীয় এক ব্যাক্তি নুসরাত জাহান অন্তু বলেন, মূল্যত ধানের দাম কম থাকা ও কৃষাণের মজুরী বেশী হওয়ার কারনে কৃষকরা মাছ চাষের দিকে আগ্রহী হচ্ছে। একমাত্র কৃষি জমি সংরক্ষনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আইন চালু করেই কৃষকদের এ আগ্রহ থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তা নাহলে আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়তে হতে পারে। স্থানীয় এক কৃষক আবুল কাশেম বলেন, ধানের দাম কম , শ্রমিকের অপর্যাপ্ততা, বেশী মজুরী, সার ও বীজ এবং আনুসাঙ্গিক খরচের কথা চিন্তা করেই ক্ষেত মালিকরা তাদের জমিগুলো মাছের খামারে পরিনত করছে। এজন্য কৃষকদেরকে ধান চাষের পরামর্শ দিলেও তারা শুনছে না।এছাড়াও আমরা ধান উৎপাদন করে তেমন লাভবান হতে পারি না। তাই বাধ্য হয়ে চাষ করতে হচ্ছে আমাদের।

এ সম্পর্কে ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব তানভীর আল নাসীফ বলেন, কৃষি জমি রক্ষার বিষয়ে আমাদের উপজেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে, ভেকু জব্দ করা হয়েছে। তবে কিছু কিছু স্থানে গভীর রাতে ভেকু দ্বারা জমি খননের কথা শুনেছি। সেখানেও আমরা কঠোরভাবে অভিযান পরিচালনা করবো।

 

আপনার মতামত লিখুন :