সেনাবাহিনীর দেয়া ঘর বুঝে পেলো আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তরা
প্রকাশিত : ২ জুন ২০২০

বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবেলায় কাজ করছেন সেনাবাহিনী। ঝড়ের তাণ্ডবে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়া ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর তৈরি, ত্রাণ সরবরাহ, শুকনা খাবার বিতরণ, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, খাবার স্যালাইন, নগদ আর্থিক সহায়তা দিচ্ছেন তারা। বরিশালের শেখ হাসিনা সেনানিবাসের পক্ষ থেকে জেলার মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলার ৪৫টি পরিবারকে এই ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় জেলাগুলোতে ১৯৮টি ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জুন) দুপুরে শরণখোলা উপজেলার দক্ষিণ সাউথ-খালী গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত খলিলুর রহমান ও পনু হাওলাদারকে টিনসেড ঘর হস্তান্তর করেন ২৮ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মাদ আল মাসুম। এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদুজ্জামান খান, শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল শামস ইয়াসীন খানসহ সেনা সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মাদ আল মাসুম শরণখোলার ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পরিদর্শন করেন। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে দ্রুত বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে আম্পানের ঘা শুকাবার আগেই ঘর পেয়ে খুশি ক্ষতিগ্রস্তরা। ঘর পাওয়া খলিলুর রহমান বলেন, আম্পানে ঘরের চালা ও বেড়া উড়ে গেছে। সেনা সদস্যরা আমাদের ঘর নির্মাণ করে দিলেন। আমরা খুব খুশি হয়েছি। এর আগে লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ খানের নেতৃত্বে শরণখোলা উপজেলার বিভিন্ন বাজার, গুরুত্বপূর্ণ স্থান এবং গ্রামে গ্রামে মাইকিং করা হয়। গরীব, দুস্থ ও অসহায় মানুষদের মাঝে মাস্ক, গ্লাভস, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকার পরামর্শ ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে উৎসাহ দেন সেনা সদস্যরা।