ফতুল্লায় সাংবাদিকের বাসায় চুরি’ থানায় মিরাজ ও আজমীর বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রকাশিত : ২২ এপ্রিল ২০২০

এ.আর কুতুবে আলম, ফতুল্লা: ফতুল্লা মডেল থানা সংলগ্ন সরকার বাড়ী সড়ক নার্গিস মঞ্জিলের তৃতীয় তলায় ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের যুগ্ন সম্পাদক এ.আর কুতুবে আলমের বাসা সবার অগোচরে আজমেরী হোসেন গংরাদেও ইন্দনে নগদ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে মিরাজুল ইসলাম মিরাজ চম্পট মেরেছে। এ ঘটনা ঘটেছে গত ১৬ এপ্রিল সকাল ৯টায় । এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এ মামলা সূত্রে জানাযায়, ফতুল্লার সরকারবাড়ী সড়ক নার্গিস মঞ্জিলের তৃতীয় তলা ফ্লাটে বসবাস করেন সাংবাদিক শিক্ষক এ.আর কুতুবে আলম ও তার পরিবার। তার ভাড়ায় থেকে পড়াশুনার পাশাপাশি চাকুরী করে মিরাজুল ইসলাম মিরাজ (২৩)। সে পিলকুনি এলাকার মাদকখোর মজিবর ওরফে মইজ্জার ১ম ঘরের সন্তান। সে পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানাধীন ভিটাবাড়িয়ার ঝোলাগাতি গ্রামে নানা বাড়ি থেকে বড় হইছে। ঠিক মতো পড়াশুনা না করায় তাকে সাংবাদিক কুতুবে আলম এর বাসায় নিয়ে আসে। এরপর সে কারিগরি (ভকেশন্যাল) স্কুলে ভর্তি করিয়ে পড়াশুনা চালু করে ।

বর্তমানে সে কুতুবে আলমের বাসায় থেকেই ১০ম শ্রেনীতে পড়তো। তার বাসায়ই থাকে খায় । তার প্রাইভেট স্কুল পরীক্ষা বেতনসহ সবই মানবতার খাতিওে কুতুবে আলম বহন করে। কুতুবে আলমের স্ত্রী সাংবাদিক মুন্নি আলম মনি ও তার ছেলে সৌরভ স্বাধীন গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গেছে। এ সুবাধে মিরাজ আর কুতুবে আলম বাসায় আছে। সে গত ১৬ এপ্রিল সকালে কাজের কথা বলে বের হয়। এসময় ওয়ারড্রপে থাকা তার কোচিংয়ের শিক্ষার্থীর ফেব্রুয়ারী মার্চের বেতন নগদ ৪০০০০(চল্লিশ হাজার) টাকা সু কৌশলে চুরি করে নিয়ে চলে যায়।

এরপর কুতুবে আলম মিরাজের মোবাইল ফোনে ফোন করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। একপর্যায় জানতে পারেন দাপাইদ্রাকপুর সাহারা কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় শহিদ হোসেন ওরফে ডাকাত শহিদের বাসায় থাকে এবং খায়। এই মিরাজ কে দিয়ে শহিদের মাদক ব্যবসায়ী ছেলে আজমীর হোসেন (৩০) ও আসিফের সেলস ম্যান হিসেবে কাজ করে। মিরাজের সন্ধান পেয়ে কুতুবে আলম দাপা ইদ্রাকপুর গেলে মিরাজকে পায়। এ সময় মিরাজকে বাসায় আনতে গেলে ইয়াবা আজমীর ও আসিফসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন যুবক কুতুবে আলমের উপর হামলা চালায়।

এসময় আশেপাশের লোকজন এসে ভীর জমালে মিরাজকে নিয়ে তারা চলে যায়। এরপর কুতুবে আলম ফতুল্লা থানায় পুলিশকে ফোন করলে পুলিশ ঘটনা স্থলে আসলেই আজমীর মিরাজ আসিফসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা পালিয়ে যায়। পরে ফতুল্লার সাংবাদিকদের সাথে আলোচনা করে ফতুল্লা মডেল থানায় এজাহার প্রদান করেন। আর এই এজাহারটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

উল্লেখ্য এর আগেও মিরাজ বেশ কয়েকবার চুরি করে পার পেয়ে যায়। সে এলাকায় স্থানীয় বখাটেদের সাথে আড্ডা থাকায় তাকে বেশ কয়েকবার শাসন করা হয়েছিলো। পুলিশ জানায় সাংবাদিকের উপর হাত উঠিয়েছে সে যে হোক তাকে গ্রেপ্তার করা হবে এবং তার বিরুদ্ধে মামলাও নেয়া হবে। বাদী এ,আর কুতুবে আলম জানান, ফতুল্লা মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম হোসেনের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই এবং তদন্তকারী অফিসারও এ ব্যাপরে যথেষ্ট আন্তরিকতা দেখিয়েছেন।

এলাকাবাসী জানান, শহিদ হোসেন ওরফে ডাকাত শহীদ হোসেনের বাড়ীর প্রত্যেকটা সদস্যই ক্রাইমের সাথে জড়িত। তার ছেলে আজমীর ইয়াবা ব্যবসায়ী বেশ কয়েকবার ইয়াবাসহ ফতুল্লা মডেল থানায় গ্রেপ্তার হয়েছিল। শহিদ হোসেন ওরফে ডাকাত শহিদ এখনও কারাগারে আছে। তার পুরা পরিবারই মাদকের সাথে জড়িত।

আপনার মতামত লিখুন :