পটুয়াখালীর গলাচিপায় কার জমি কে ভোগ করে

প্রকাশিত : ১৯ এপ্রিল ২০২০

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপা পৌরসভার সদর রোডের ৫৪৯ বর্গ ফুট জমিতে লক্ষন চন্দ্র দাস মনোহরী দোকান তুলে দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসা করে আসছে। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতার কারনে বর্তমানে তিনি দোকান ভোগ করতে পারছে না। এ ব্যাপারে তার জেঠাতো ভাইয়ের স্ত্রী বাসনা রানী দাসের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও গলাচিপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন লক্ষন চন্দ্র দাস।

একাধিক বার সালিস বৈঠক বসেও তার সমাধান করতে পারেনি সালিসদাররা। জানা গেছে, গলাচিপা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নিশিকান্ত দাসের দুই পুত্র লক্ষèী কান্ত দাস ও কৃষ্ণ কান্ত দাস। লক্ষèী কান্ত দাসের পুত্র লক্ষন চন্দ্র দাস এবং কৃষ্ণ কান্ত দাসের দুই পুত্র প্রাণকৃষ্ণ দাস ও হরেকৃষ্ণ দাস। প্রাণকৃষ্ণ দাসের স্ত্রী ছিল বাসনা রানী দাস এবং হরেকৃষ্ণ স্ত্রী ছিল মিনতি রানী দাস। তফসিল বর্নিত সম্পত্তি হলো: মৌজাঃ রতনদী,জেএল নং ১০৮,খতিয়ান নং ৬১১, ৭৯৯,৮০৪ দাখ নং ১৪০,১৪১ ১৮৯, ভিপিকেস নং ৫৫৭ পিকে ৭২-৭৩। সরকারের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) পটুয়াখালী বাদী সতীশ চন্দ্র দাসের পুত্র সুরেশ চন্দ্র দাস (ভিপি-১ পিকে/৮২-৮৩) এবং নিশিকান্ত দাসের পুত্র লক্ষèী কান্ত দাস (ভিপি-৫৫৭ পিকে/৭২-৭৩)এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলা ১৯৮৪সালের ২৬এপ্রিল নিষ্পত্তি হয় এবং লক্ষèী কান্ত দাসের নামে দখলীয় জমিতে ডিসিআর দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

তার নামে উক্ত খতিয়ান ও দাগের মধ্য থেকে .০০৫২ সহ¯্রাংশ ডিসিআর সংগ্রহ করেন। পরে .০১ সহ¯্রাংশ জমির ডিসিআর কাটেন যা সর্ব সাকুল্যে ৫৪৯ বর্গফুট হয়। যা পরবর্তীতে ল²ন দাসের ভোগ দখলে আসে। কাগজপপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, বাসনা রানীর শ্বশুড় কৃষ্ণ কান্ত দাস ঠেকা বসত তার ভাই লক্ষèী কান্ত দাসের কাছে জমি বিক্রি করে দেয়। তবে দ্বিতীয় পক্ষ বাসনা রানী গলাচিপা ভূমি অফিস থেকে বাড়ি ভাড়া আদায় রশিদ নং ০৩১৫০৩৪ ও বই নং ৩১৫১ খাজনা বাংলা ১৪২৩বঙ্গাব্দ পর্যন্ত পরিশোধ করা হয়েছে। উক্ত তফসিল বর্নিত জমির পরিমান বানিজ্যিক ৬০ বর্গফুট। আবাসিক ২৮৭ বর্গ ফুট। বর্তমানে উক্ত জমিতে কোনো পক্ষ বর্তমান পর্যন্ত ডিসিআর সংগ্রহ করেনি। লক্ষন চন্দ্র দাস জানায়, দীর্ঘ দিন যাবদ তিনি ভোগ দখল করে আসছে। ডিসিআর কৃত জমিতে ল²ন দাসের বসত ঘরে বাসনা রানী ও মিনতি রানীর নেতৃত্বে হামলা চালায় ও পরপর বিভিন্ন আদালতে বেশ কয়েকেটি মামলা দায়ের করা হয় ।

এক পর্যায় পটুয়াখালী বিজ্ঞ অতিঃ দায়রা জজ আদালতে করা মামলায় ল²ী কান্ত দাস ও ল²ন চন্দ্র দাস পটুয়াখালী জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এই সুযোগে ডিসিআর কৃত ঐ জমিতে জোর পূর্বক বাসনা রানী ও মিনতি রানি পরিবার নিয়ে বসবাস করতে শুরু করে। কিন্তু পরবর্তীতে ল²ন দাসের বিরুদ্ধে অধিকাংশ মামলাই তার পক্ষে রায় আসে। এ ব্যাপারে বাসনা রানী জানায়, উক্ত জমিতে আমি ভোগ দখলে আছি এবং ১৪২৬সন পর্যন্ত ডিসিআর আমার নামে সংগ্রহ করা আছে। বিরোধী পক্ষ নানা ভাবে আমাকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুন :