গলাচিপায় করোনার ঝুঁকি নিয়ে স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছেন ডাঃ ইমাম সিকদার

প্রকাশিত : ১২ এপ্রিল ২০২০

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপায় ‘মানুষ মানুষের জন্য’ ‘জীবন জীবনের জন্য’ মনে করেই আজ এই কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস আক্রান্তে মহামারী দূর্যোগে একজন ডাক্তার হয়ে নিজের জীবনের মায়ার জন্য ঘরে বসে থাকতে পারি না বললেন পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত ডাঃ ইমাম সিকদার।

দেশের বর্তমান করোনা মোকাবেলায় সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম কর্মসূচী গ্রহন করে জাতির জনজীবন সুরক্ষায় সকল প্রশাসক, আইনশৃঙ্খলা বাহীনির পাশা-পাশি দেশে সকল সরকারী বেসরকারী হাসপাতাল সমূহের ডাক্তার নার্স সহ নিরালস ভাবে করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করে জনসাধারনের স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছে মানবতার অকুতভয় নিবেদিত কিছু বীর সাহসী ডাক্তার ইমাম সিকদার। তার’ই কিছু ব্যতিক্রম হয়নি গলাচিপা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার ইমাম সিকদার।

তিনি তার জীবনকে বর্তমান দূর্যোগ মোকাবেলার একজন অতন্দ্র প্রহরী সৈনিক হিসেবে মানব সেবায় নিজেকে সবসময়ই প্রস্তুত রেখেছেন। গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে কথা হলো ডাক্তার ইমাম সিকদারের সাথে। তিনি তার সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বলেন, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে মান অভিমান করার সময় নয়। এখনই মানুষ মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। কি পেলাম, আর কি পেলাম না” তার হিসেব করতে চাইনা। তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্য সেবাদানে আমাদের যথেষ্ঠ পরিমানে পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইয়েটমেন্ট (পিপিই), হ্যান্ড গেøাভস, হ্যান্ড সেনিটাইজার সহ জরুরী প্রয়োজনীয় ইনষ্টোমেন্ট সরকারের তরফ থেকে পেয়ে আমরা রোগী সেবা অব্যাহত রেখেছি।

শুধু তাই নয় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ মনিরুল ইসলাম এর নির্দেশে স্বাস্থ্য সেবা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এ মহামারী করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় জনগনের উচিত সরকারী আইন মেনে সমাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বাহির না হওয়া। মাক্স, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ধোয়া। আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতা বাড়িয়ে তোলাই হতে পারে করোনা ভাইরাস থেকে আমাদের বাঁচার একমাত্র উপায় বলে জানান।

এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মনিরুল ইসলাম বলেন, জনসচেতনতার কোন বিকল্প নেই। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে গলাচিপা উপজেলায় রোগীদের সেবা দানের জন্য যথেষ্ঠ প্রয়োজনীয় ইক্যুয়েপমেন্ট আছে। আমাদের ডাক্তাররা বিরামহীন স্বাস্থ্য সেবার জন্য চব্বিশ ঘন্টা জরুরী সেবা চালু রেখেছেন।

 

আপনার মতামত লিখুন :