চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে তওবা পড়লেন মাজেদ
প্রকাশিত : ১১ এপ্রিল ২০২০
বঙ্গবন্ধুর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার আত্মস্বীকৃত খুনি ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আব্দুল মাজেদের ফাঁসি শনিবার (১১ এপ্রিল) মধ্যরাতে (রবিবার রাত ১২টা এক মিনিটে) কার্যকর করা হবে। ইতোমধ্যেই আব্দুল মাজেদকে তওবা পড়ানো হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এ সময় চিৎকার করে কেঁদেছেন তিনি। শনিবার (১১ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিগত দুই দশক পালিয়ে ভারত গিয়েছিলেন আবদুল মাজেদ। গত মার্চের মাঝামাঝি সময় তিনি ঢাকায় আসেন। পরে সোমবার (৬ এপ্রিল) দিনগত রাত ৩টার দিকে মিরপুর থেকে মাজেদকে গ্রেফতার করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যরা।
এর আগে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আবদুল মাজেদসহ ১২ আসামিকে ২০০৯ সালে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ ও মুহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসি ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি কার্যকর হয়।
রায় কার্যকরের আগে ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান আসামি আজিজ পাশা। মাজেদ গ্রেফতার হওয়ার পর বর্তমানে পলাতক রয়েছেন পাঁচজন। পলাতক আসামিরারা হলেন- খন্দকার আবদুর রশীদ, শরিফুল হক ডালিম, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, এ এম রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেম উদ্দিন। তারা সবাই সাবেক সেনা কর্মকর্তা। তারা বিভিন্ন দেশে পলাতক পালিয়ে আছেন।