দশমিনায় প্রতিমা ভাংচুর ও দূধর্ষ চুরি

প্রকাশিত : ৯ এপ্রিল ২০২০

সঞ্জয় ব্যানার্জী, দশমিনা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা।। পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের জাফরাবাদ গ্রামে হরলাল ঠাকুরের বাড়ি ও গোড়াচাঁন গাইন বাড়ির মন্দিরসহ পৃথক দু’টি মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর ও বসতঘরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাত অনুমান ৩টায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান। স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের জাফরাবাদ গ্রামের হরলাল চক্রবর্তী’র একই গ্রামের গোলাম মস্তফা মাষ্টার ওরফে মস্তফা পঞ্চায়েতের মধ্যে ৩একর ১৬শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিল। বর্তমানে হাই কোর্টে মামলাটি চলমান।

ভোক্তভোগী হরলাল চক্রবর্তী জানান, রাত অনুমান ৩টা কি সাড়ে ৩টার দিকে বাহিরে যাওয়ার জন্য উঠলে আমার সযাগ টের পেয়ে ঘর থেকে দু’জন লোক দৌঁড়ে বের হতে থাকে। আমার ডাকচিৎকারে ছেলেরা ঘুম থেকে জেগে ওঠে আমার ঘরে গিয়ে ছেলেরা আলমারি ভাঙ্গা দেখে এবং জরুরী কাগজপত্র, নগদ ১৫/২০ হাজার টাকা ও ব্যাবহারিক স্বর্ণালংকার দেখতে পায় না। বাহিরে গিয়ে কালি মাতা ও নারায়ন মন্দির প্রতিমা ভাংচুর দেখতে পায়। সকালে বাড়ির উত্তর পাশের বিরোধীয় জমির সীমানার বেড়াও দেখতে পায় না। অপরদিকে, ওই বাড়ির সামনে গোড়াচানঁ গাইন বাড়ির কালি মাতার প্রতিমাও ভাঙ্গা অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। হরলাল চক্রবর্তী ও তার বড় ছেলে হেমলাল চক্রবর্তী অভিযোগ, মস্তফা গংরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

এ ব্যাপারে গোলাম মস্তফা মাষ্টার ওরফে মস্তফা পঞ্চায়েত জানান, এ ঘটনা ষড়যন্ত্রমূলক এবং মিথ্যা ও বানোয়াট। ওদের সাথে জমি নিয়ে ২০০৬সাল থেকে বিরোধ চলে আসছে। বর্তমানে হাই কোর্টে মামলা চলমান রয়েছে। দশমিনা থানা ওসি এস,এম জালাল উদ্দিন জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লিখিত অভিযোগ হতে পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো। এছাড়াও ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত জেলা-পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান, সার্কেল এসপি ফারুক, উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোসাঃ তানিয়া ফেরদৌস ও উপজেলা আ”লীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. ইকবাল মাহামুদ লিটন ও ইউপি চেয়ারম্যান মহিবুল আলম, দেবাষিশ মজুমদার রতনসহ আরও অনেকে।

আপনার মতামত লিখুন :