করোনা রোগী পাওয়ার পর রাজধানীর বাড্ডাসহ ৯ এলাকা লকডাউন

প্রকাশিত : ৮ এপ্রিল ২০২০

করোনা ভাইরাসের নতুন রোগী পাওয়ার পর রাজধানীর ৯টি এলাকার বিভিন্ন বাড়ি লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। ওই সব এলাকার কেউ বাইরে বের হতে এবং কেউ ঢুকতেও পারবেন না বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ৪১ জনের মধ্যে ২০ জনই ঢাকার বলে নিশ্চিত হওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার পুরান ঢাকার খাজে দেওয়ান, মোহাম্মদপুর, আদাবর, বছিলা, বাড্ডা ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বিভিন্ন ভবন লকডাউন করার ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। পুরান ঢাকায় খাজে দেওয়ান লেনে একটি মসজিদ কমিটির সহসভাপতি ও এক নারীর নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ায় গতকাল বিকেল ৫টার পর ওই এলাকার ২০০ ভবন লকডাউন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চকবাজার থানার ওসি মওদুত হাওলাদার।

তিনি বলেন, যে মসজিদ কমিটির সহসভাপতি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি বাড়ির বাইরে বের হতেন এবং বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করেছেন। ওই লেনের এক নারীও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, যিনি বাইরে যেতেন না। তাহলে নিশ্চয়ই তার স্বামী-সন্তান বাইরে থেকে এই ভাইরাস বাসায় এনেছেন। এই দুটি ঘটনায় খাজে দেওয়ান লেনে করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঘটেছে ধারণা করে ওই লেনের এক ও নম্বর দুই নম্বর গলি লকডাউন করা হয়েছে। এই দুটি গলিতে আনুমানিক দুইশ ভবন রয়েছে জানিয়ে ওসি আরো বলেন, আজ (মঙ্গলবার) বিকাল ৫টার পর থেকে কাউকে ঢুকতে এবং বের হতে দেয়া হচ্ছে না। কারো কিছু প্রয়োজন হলে পুলিশের মাধ্যমে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।

এদিকে মোহাম্মদপুর এবং আদাবরের ৬টি এলাকা লকডাউন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মিরপুর জোনের সহকারী কমিশনার রৌশনুল হক সৈকত। তিনি বলেন, আইইডিসিআর মোহাম্মদপুর-আদাবর এলাকার কয়েকজনের করোনা ভাইরাস পজেটিভ পায়। এরপরই বাসাগুলো চিহ্নিত করে লকডাউন করা হয়। এর মধ্যে কৃষি মার্কেটের সামনে, তাজমহল রোড মিনার মসজিদ এলাকা, রাজিয়া সুলতানা রোড, বাবর রোড, বছিলা ও আদাবর এলাকার কয়েকটি বাড়ি ও রাস্তা এখন লকডাউন। এসব এলাকা ঘিরে লাল ফিতা, পতাকা লাগিয়ে চলাচলে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। ঘন ঘন মাইকিং করা হচ্ছে। কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর বাড়ি ছাড়াও বাড়ির সামনের রাস্তা ও আশপাশের রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, উত্তর বাড্ডার খানবাগ রোডের এক ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরপর ওই ভবনটি লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়াও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এক নারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ওই নারী যে ভবনে থাকতেন সেটি লকডাউন করা হয়েছে। ওই ভবনে ৮টি পরিবার বসবাস করছে। কোভিড-১৯ এর বিস্তার ঠেকাতে যে এলাকায় রোগী পাওয়া যাচ্ছে, সে এলাকা পুরোপুরি লকডাউন করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাতে ছোঁয়াচে রোগটি আরো ছড়িয়ে পড়তে না পারে। সংক্রমণের শুরুর দিকে ঢাকায় মিরপুরের টোলারবাগে রোগী পাওয়ার পর ওই এলাকাটি লকডাউন করা হয়েছিল।

 

আপনার মতামত লিখুন :