মানুষের সুখের সময় তাদের পাশে ছিলাম দুঃখের সময়েও তাদের পাশে থাকতে চাই-ডাঃ মোস্তফিজ

প্রকাশিত : ৫ এপ্রিল ২০২০

নিজস্ব সংবাদদাতা : ফতুল্লা মডেল থানার নিকটতম একটি প্রাইভেট হাসপাতাল । যার নাম ফতুল্লা জেনারেল হাসপাতাল ও ডক্টর ডায়াগোনিষ্টিক ল্যাব । এই প্রতিষ্ঠানটি মোস্তাফিজ সেন্টারের ভবনে অবস্থিত। আর প্রতিষ্ঠানের প্রধান হলেন ডাক্তার মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি একজন দেশ প্রেমিক ও মানবসেবক সাদা মনের মানুষ। যিনি আমেরিকা নাগরিত্ব পেয়েও সেখানে না থেকে বাংলাদেশে আসছেন। শুধু মা মাটি ও দেশে এবং দেশের মানুষের ভালোবাসার টানে। তাঁর এই ভালোবাসা ফুটে উঠে তার কতৃর্ক চিকিৎসার মাধ্যমে। তিনি নিরালস বিরতিহীনভাবে  মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

প্রত্যক্ষরা জানান, বর্তমান সময় কোভিট -১৯ করোনা ভাইরাসের কারণে সারা বাংলাদেশের  বেশির ভাগ চিকিৎসকরা যখন  হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন,তখনও জীবনের ঝুঁকি থাকা সত্বেও তিনি নিরালসভাবে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ফতুল্লা মোস্থাফিজ সেন্টারের জেনারেল হাসপাতালের  পরিচালক ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান। এতে তার পরিবারের শত বাধা উপেক্ষা করে তিনি এই মহামারী সময় আগত রোগীদের সেবা দিচ্ছেন । এই কোভিট-১৯ করোনা ভাইরাস মহামারী নিয়ে এক প্রশ্নে উত্তরে তিনি আমাদের প্রতিনিধিকে জানান,“ যেহেতু মানুষের সুখের সময় তাদের পাশে ছিলাম, সেহেতু তাদের দুঃখের সময়েও তাদের পাশে থাকতে চাই”।এই নারায়ণঞ্জ ও ফতুল্লাবাসীর মানুষ ত্রিশ বছর আমার পাশে থেকে ভালোবাসা ও সম্মান দিয়েছেন। তাদের ঋৃণ আমি কোন দিনও শোধ করতে পারবোনা।

এমন কি আমাদের পাশের প্রতিবেশি ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ কদমতলীসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষের ভালোবাসা  ও সম্মান প্রচুর পেয়েছি। তাই দেশ ও জাতির এই কøান্তি লগ্নে পাশে থেকে সাহস যোগিয়ে আমি তাদের সেবা দিতে চাই। তিনি আরো বলেন, সে আমেরিকায় নাগরিত্ব পাওয়া সত্বেও বাংলাদেশী রোগীদের মায়ার টানে তিনি বারবার ছুটে আসেন। তাই দেশের মানুষের জন্য সেবা দিতে এই প্রতিষ্ঠান গড়েন তারই কিছু আত্মীয়স্বজন এবং ফতুল্লার মানুষদের সাথে নিয়ে। তিনি আরো বলেন, ফতুল্লায় দলমত নির্ভিশেষে স্থানীয় সাংবাদিক রাজনীতিবিদসহ সবার সহযোগিতায় আজ মোস্তাফিজ সেন্টারের ভবনের ফতুল্লা জেনারেল হাসপাতাল ও ডক্টর ডায়াগোনিষ্টিক ল্যাব মানব সেবাদানের একটি স্থান দখল করে নিয়েছেন।

এসময় আগত রোগীদের কাছে ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সম্পর্কে জানতে চাইলে রোগীরা বলেন, স্যারের প্রশংসা তার সামনে করা ঠিক হবে না তবুও বলবো তিনি একজন ভালো মানুষ ভালো চিকিৎসক। তার কাছে আমরা যখন আসি তখনই সেবা নিতে পারি যা অনেক ডাক্তার আছেন তাদের কাছে যেতে হলে নানা দরজা পেরিয়ে যেতে হয়। রোগীর সমস্যা স্যার মনোযোগ সহকারে সময় নিয়ে শুনেন এবং দেখেন। এক কথায় বলবো তিনি একজন সাদা মনের মানুষ । তাকে আমরা ভালো চিকিৎসক হিসেবে ভালবাসি এবং শ্রদ্ধা করি। তারঁ র্দীঘায়ূ কামানা করি।

পরিশেষে ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, সেবাই ধর্ম এই ব্রত নিয়ে যেহেতু আমরা ডাক্তার হয়েছি সেহেতু নিজেকে নিরাপদ রেখে যতটুকু পারা যায় ঠিক ততটুকু সেবা মানুষকে দিতে চাই। আমার জন্য দোয়া করবেন। দেশের করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে হলে সরকারের নির্দেশ মতো সবাইকে মেনে চলার আহব্বান রইল।

 

আপনার মতামত লিখুন :