বিচ্ছিন্ন দ্বীপ অঞ্চলে বিচার না পেয়ে দিশেহারা পলাশী বেগম

প্রকাশিত : ২ এপ্রিল ২০২০

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ অঞ্চলের পলাশী বেগম ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। পলাশী বেগম (৪০) হচ্ছেন রাঙ্গাবালী উপজেলার গংগী পাড়া গ্রামের হারেচ ব্যাপারীর স্ত্রী। পলাশী বেগম জানান, আমি দীর্ঘ ৩৫ (পঁয়ত্রিশ) বছর যাবৎ আমার স্বামীসহ রেডক্রিসেন্টের মাটির কিল্লায় বসবাস করিয়া আসিতেছি।

সেখানে আমরা ঘর তুলিয়া এবং গাছ পালা রোপণ করিয়া দেখা শোনা ও ভোগ দখল করিয়া আসিতেছি। কিন্তু সরকারিভাবে ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রনালয় থেকে মুজিব কিল্লা সংস্কার ও উন্নয়ন কাজ করার জন্য আমাদেরকে অন্যত্র চলে যেতে বলে। সরকারের নির্দেশনামতে আমি অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য আমার লাগানো গাছ কাটলে অন্য পক্ষ বাধা প্রদান করেন। আমি রাঙ্গাবালী থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ দিলে রাঙ্গাবালী থানা পুলিশ আমাদেরকে গাছ নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে।

সেমতে আমরা গত ০১/০৪/২০২০ ইং তারিখে কিছু গাছ স্ব-মিলে নিলে বাকি গাছ না নেওয়ার জন্য অন্য পক্ষ আমাদেরকে আবারও বাধা প্রদান করেন। আমি রাঙ্গাবালী থানায় বিষয়টি পূনরায় জানালে রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী আহম্মেদ অন্য পক্ষের শক্তিমত্তা ও স্থানীয় প্রভাব দেখে আমাদেরকে সন্ধ্যায় থানায় ডেকে নিয়ে বলে যে তোমরা একটি গাছও নিতে পারব না।

মোঃ মঞ্জুরুল আলম ওরফে মঞ্জু মাষ্টার, মোঃ আবু সায়েম উভয় পিং- মৃতঃ বজলুর রহমানকে উক্ত গাছ নেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে গংগীপাড়ার ইউপি সদস্য নবীনুর জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি দেখব। ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান মামুন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি থানায় নাকি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী আহম্মেদকে মুঠোফোনে ফোন দিলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

 

আপনার মতামত লিখুন :