মৌসুমের শেষ দিকে পর্যটকের পদচারনায় মুখরিত কুয়াকাটা
প্রকাশিত : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।। সাগরকন্যা খ্যাত পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা। নাম শুনলেই চোখের সামনেই ভেসে ওঠে চির সবুজ প্রাকৃতিক দৃশ্য। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী আদিবাসী রাখাইন পাড়া। দীর্ঘ সৈকতে লাল কাঁকড়ার ছুটাছুটি। পাখির কলকাকলী। সারি সারি ঝিনুক। সৈকতের একই স্থানে দাঁড়িয়ে উপভোগ করা যায় সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের দৃশ্য। সাগরের বিশালতার পাশাপাশি এই অপরূপ সৌন্দর্য যেন বিমোহিত করছে ভ্রমন পিপাসু প্রকৃতি প্রেমীদের।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ছুটি সহ সরকারী দুই দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে পর্যটন মৌসুমের শেষ দিকে শুক্রবার সকালে হাজারে পর্যটকের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে কুয়াকাটার সৈকত। আগত পর্যটকরা সৈকতের নোনা জলে গাঁ ভাসিয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতেছেন। অনেকে প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে সৈকতের বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। অনেকে আবার ঘোড়া সহ বিভিন্ন বাহনে চরে ঘুরছেন সৈকতের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। পর্যটকদের ভীড়ে বুকিং রয়েছে শতভাগ হোটেল মোটেল। বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। মৌসুমের শেষ সময়ে পর্যটকের এমন ভীড়ে উচ্ছসিত রয়েছে ব্যবসায়ীরা। এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিষ্ট পুলিশ, থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশের সদস্যরা তৎপর রয়েছে।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, আগত এসব পর্যটক সমুদ্র দর্শনের পাশাপাশি রাখাইন পল্লী, রাখাইন মার্কেট, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, মিশ্রিপাড়া সীমা বৌদ্ধ মন্দির, ঝাউবাগান, গঙ্গামতির লেক, লাল কাকড়ার চর, লেম্বুর বন, আন্ধার মানিক নদী মোহনা, ফাতরার বনসহ দর্শনীয় স্পটগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। একই সাথে ঝিনুক মার্কেট,খাবার হোটেলসহ পর্যটন নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোতে বেচাকেনার ধুম পরে গেছে।
পর্যটক তাজুল ইসলাম জানান, দক্ষিণাঞ্চলের খুব কাছের পর্যটন স্পট কুয়াকাটা। কক্সবাজারের চেয়ে কুয়াকাটা ভ্রমণ খুব সহজ। এখানকার প্রকৃতি ও পরিবেশ খুবই ভালো। তাই পরিবার পরিজন নিয়ে বার বার কুয়াকাটায় ছুটে আসি। দুই দিনের ছুটিতে এসে বেশ আনন্দ উল্লাস করছি। এছাড়া এখানকার সবক’টি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। ভালই লেগেছে।
পর্যটক তরুনী সাথী আক্তার বলেন, একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত উপভোগ করার দৃশ্য একমাত্র কুয়াকাটায়। এর আগে তিনি আরও দুইবার এসেছেন। তবে একসঙ্গে এত মানুষ দেখেননি তিনি।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট এসোসিয়েশন কুটুম’র সাধারন সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নতি হওয়ায় ঢাকা থেকে কুয়াকাটায় আসতে সময় কম লাগে। তাই ভ্রমণ পিপাসুরা কুয়াকাটা সৈকত বেছে নিয়েছে। এখানে রয়েছে প্রকৃতি সৌন্দর্য ঘেরা। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিওনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, অগত পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পর্যটকরা যাতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি পর্যটন স্পটে টহল জোরদার করা হয়েছে।