আগাম তরমুজ, দাম ভালো পেয়ে খুশি চাষীরা
প্রকাশিত : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মাঠ জুড়ে তরমুজ খেত আর খেত। চোখ যতদুর যায়, তরমুজ গাছের পাতার ফাঁকে ফাঁকে মাটির সাথে মিশে আছে ছোট বড় তরমুজ। এ বছর তরমুজের ফলনও ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যে খেত থেকে আগাম তরমুজ কাটা শুরু হয়েছে। দাম ভালো পেয়ে খুশি চাষীরা। মো.খোকন হাওলাদার উপজেলার লতাচাপলি ইউনিয়নের তুলাতলি গ্রামে ৪ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন তিনি।
আড়াই মাসে চাষ, ঔষধসহ মোট খরচ হয়েছে ৩ লাখ টাকা। তার খেতের আগাম তরমুজ বিক্রি করেছেন ৬ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের দৌলতপুরের গ্রামের কৃষক মো.মমিন বলেন , সে এবছর ২ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। তার দিগুন লাভ হয়েছে। তবে খাল শুকিয়ে যাওয়ায় পানির সংকট ছিল বলে তিনি জানান। আরেক কৃষক মো. রাজ্জাক জানান, এ বছর আগাম তরমুজ চাষে ভালো ফলন হয়েছে। তিনি আড়াই একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় দুই লাখ টাকা।
কৃষকরা জানান,তরমুজ চাষের জন্য পর্যাপ্ত মিঠাপানির প্রয়োজন রয়েছে। উপজেলার ¯øুইস সংযুক্ত খালগুলোতে মিঠাপানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকলে শুধু তরমুজ নয়,সবজি ও বোরো ধানের আবাদে বিপ্লব ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, শুধু লতাচাপলি ইউনিয়নে নয়, এমনি আগাম তরমুজ বিক্রি শুরু হয়েছে নীলগঞ্জ, ধানখালীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে। এ বছর ৩ হাজার ৫শত হেক্টর জমিতে এ উপজেলায় তরমুজের আবাদ হয়েছে। যা পরিসংখ্যানে গত বছরের চেয়ে তিনগুণ। তবে তরমুজের আবাদ করে লাভের স্বপ্নে বিভোর চাষীরা।
টিয়াখালীর উদ্যমী যুবক মাসুম হাওলাদার এ বছর ৪০ বিঘা জমিতে তরমুজের আবাদ করেছেন। তার খেতের ফলন গড়ে এখন পর্যন্ত ২-৩ কেজি হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ টাকা তার খরচ করেছেন। তার খেতে ড্রাগন, থাইল্যন্ড, মাসুদ সীড, গ্রেড -১ জাতের তরমুজের আবাদ করেছে। এতে প্রায় ৬৫ লাখ টাকার বীজ কিনতে হয়েছে তার। গড়ে ১০-১৫ জন শ্রমিক প্রায় চার মাস ধরে মাঠে কাজ করছেন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ১১ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে কোন ধরনের সমস্যা কিংবা শেষ মুহুর্তে কোন ধরনের দূর্যোগ না হলে অন্তত ৪০ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন বলে এমটাই আশা করছেন তিনি।
কৃষি সস্প্রসারণ কর্মকর্তা মো.আরাফাত হোসাইন বলেন,সাড়ে ৩’শত হেক্টর জমির আগাম তরমুজ করেছে কৃষকরা। এবারের আবহাওয়া অনুক‚ল থাকা ও রোগ বালাইর উপদ্রব কম হওয়ায় বাম্পার ফলনের দেখা দিয়েছে। তবে কৃষকের সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগীতার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে তিনি জানান।