আহতদের খোঁজ নিতে পঙ্গু হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৭ জুলাই ২০২৪

শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিসংতায় আহতদের খোঁজ নিতে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (পঙ্গু হাসপাতাল) পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালে যান তিনি। হাসপাতাল পরিচালক অধ্যাপক ড. কাজী শামীম উজ্জামান আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

শেখ হাসিনা আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে বলেন। এসময় সরকারপ্রধান পঙ্গু হাসপাতালে গুরুতর আহত চিকিৎসাধীন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন ও তাদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন। আহত ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।

অন্যদের মধ্যে এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাইমুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন। এর আগে শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সহিংসতায় আহতদের দেখতে যান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি ওয়ার্ড ঘুরে আহতদের খোঁজখবর নেন। তিনি চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে কথা বলেন। আহতদের সব ধরনের চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দেন।

আহত ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিৎসার আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দোষী ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে, যাতে কেউ আর দেশবাসীর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে। তার আগে শুক্রবার সকালে রাজধানীর রামপুরায় নাশকতাকারীদের হামলা ও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবন এবং বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকালে মিরপুর ১০-এ মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করেন সরকারপ্রধান।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার চিন্তা নিয়েই দুর্বৃত্তরা আক্রমণ করে। মেট্রোরেল যা ছিল সারা বিশ্বের সব বাঙালির গর্বের সম্পদ, সেটাকে ধ্বংস করল। আর এই টেলিভিশনটা। যেসব জিনিস মানুষের সেবা করে, মানুষের কাজ করে বেছে বেছে সেই জায়গাগুলোতেই তারা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। সরকারপ্রধান বলেন, বিএনপি-জামায়াত অতীতের মতোই অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। এবার তারা আলাদা; তারা গান পাউডার ব্যবহার করেছে। দেশের বাইরে আন্দোলন ছড়িয়ে দিয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট ও মানুষের রুটি-রুজি বন্ধের পাঁয়তারা করছে তারা।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত সপ্তাহ থেকে সারা দেশে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বিটিভিসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিজিবি নামানো হয়।

এছাড়া গত ১৯ জুলাই ( শুক্রবার) দিবাগত রাত ১২টা থেকে রোববার (২১ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত সারা দেশে কারফিউ জারি করে সরকার। এরপর অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়। যদিও প্রতিদিন এর মাঝে কয়েক ঘণ্টা করে শিথিল করা হয়। পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাওয়ায় ধীরে ধীরে কারফিউ শিথিলের সময় বাড়ানো হচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুন :