দীর্ঘ দুই বছর এক মাস ১৭ দিন পর ফিরোজায় উঠলেন খালেদা জিয়া

প্রকাশিত : ২৫ মার্চ ২০২০

অবশেষে দীর্ঘ দুই বছর এক মাস ১৭ দিন (৭৭৬ দিন) সাজা ভোগের পর রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবন ফিরোজায় পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বুধবার (২৫ মার্চ) বিকাল ৫টা ১৫ মিনিটে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের গাড়িতে চড়ে ফিরোজায় প্রবেশ করেন তিনি। এ দিন বিকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে তিনি মুক্তি পান। দুপুর ৩টা ৫ মিনিটের দিকে বেগম খালেদা জিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তি দেওয়া হয়। বিএসএমএমইউর প্রিজন সেল থেকে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার পর তার পরিবারের সদস্যরা এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাকে গ্রহণ করেন।

মুক্তির প্রক্রিয়া শেষে বিকাল ৪টা ২৫ মিনিটে বিএসএমএমইউ হাসপাতাল থেকে সরাসরি তিনি গুলশান অ্যাভিনিউয়ের নিজের বাসভবন ফিরোজার উদ্দেশে রওনা দেন। এর আগে, খালেদাকে বাসায় নিয়ে আসার জন্য বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার, ভাইয়ের স্ত্রী কানিজ ফাতিমা, ভাইয়ের ছেলে অভিক ইস্কান্দার, তারেক রহমানের স্ত্রীর বড় বোন শাহিনা জামান খান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, চেয়ারপারসনের পিএস আব্দুস সাত্তার, শামা ওবায়েদ, প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান, শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ বিএসএমএমইউ হাসপাতালে যান। খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের আবেদনের ফাইলে সকালে স্বাক্ষর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে কারা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়। কারা অধিদপ্তর তাদের নিয়ম অনুযায়ী মুক্তির ব্যবস্থা করে।

উল্লেখ্য, দুই বছর আগে ২০১৮ সালে ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেখান থেকে ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল তাকে নিয়ে আসা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে। দীর্ঘ ৭৭৬ দিন কারাবাসের পর আবার সেই ফিরোজায় উঠলেন খালেদা জিয়া। ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট’ ‘জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’ দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে বন্দি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় প্রথমে তার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হলেও পরে উচ্চ আদালত তার শাস্তি বাড়িয়ে ১০ বছর করে। অন্যদিকে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাতেও তার সাত বছরের কারাদণ্ড হয়। পরে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের প্রিজন সেলে রাখা হয়েছিল। গত বছরের এপ্রিল থেকে তিনি বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

 

আপনার মতামত লিখুন :