শার্শার পুটখালী ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতা

প্রকাশিত : ১১ নভেম্বর ২০২১

বেনাপোল প্রতিনিধি:
আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শার্শা উপজেলার পুটখালী ইউনিয়নের ৬নং রাজাপুর ওয়ার্ডে গতকাল বুধবার রাতে এক নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। ঐ রাজাপুর গ্রামের নৌকার সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসির সমর্থকদের নির্বাচনী ক্যাম্প থেকে তুলে নিয়ে তাদেরকে মারধর করে বলে জানা গেছে। রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ।

সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে জানা যায়, এবার পুটখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্ধি’র মধ্যে নৌকা প্রতীক প্রার্থী আব্দুল গফ্ফার এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ নাসির উদ্দিন (সম্ভাব্য মার্কা আনারস)। দুই পক্ষই জোরে-শোরে নির্বাচনী প্রচারনায় নেমেছেন। ইউনিয়ন ঘিরে প্রতিটি ওয়ার্ডেই প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীদের রয়েছে নির্বাচনী ক্যাম্প।

ঘটনার সুত্রপাতের বর্ণনায় রাজাপুর গ্রামের মোঃ কাশেম আলী(৩৭)মারাত্মক ভাবে আঘাৎ প্রাপ্ত পিংমৃতঃ-শমসের আলী,মোঃ সোহাগ হোসেন(২০)পিং-মোঃ শামসুর আলী,নয়ন(২২)পিং-মুনসুর আলী,মোঃ আসাদুল(৫৫)পিং-মেহের আলী,আলাউদ্দীন(৬৫)পিং-মুনসুর আলী প্রমুখেরা বলেন, “গতকাল বুধবার রাত আনুমানিক রাত ১০টার দিকে আমরা ৮-১০ জন সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থী(নাসির উদ্দিন)’র ৬নং ওয়ার্ডে অবস্থিত নির্বাচনী ক্যাম্পে(ঘটনা স্থল) অবস্থান করছিলাম, ঐ সময় নৌকা প্রতীকের সমর্থক রাজাপুর গ্রামের -মুক্তার মেম্বর(চলমান) ৬নংরাজাপুর ওয়ার্ড, মোঃ লিটন হোসেন(৩০)পিং-নওশের মোল্লা, বিত্তি আঁচড়া, বিল্লাল হোসেন(৩৫) পিং-মিজানুর রহমান,আব্দুর রহিম(৫০)পিং-ইউনুচ আলী, মোঃ ইয়ার আলী(৪০)পিং-দীন মোহাম্মাদ ঝনু, মোঃ তাহাজ্জৎ হোসেন পিং মৃত রুস্তম আলী, সাইদুর রহমান(৩৫) পিং মৃত জহুর ফকির গংয়েরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আমাদের নির্বাচনী ক্যাম্পে হানা দেয়। ক্যাম্পের অভ্যন্তরে বসে থাকা কাশেম আলীকে জোর পূর্বক ধরে ক্যাম্পের বাহিরে নিয়ে যায়। এবং সেখানে তারা তাকে মারধর করে,অন্য যারা ক্যাম্পে বসে ছিল তাদেরকেও ভয়ভিতি দেখিয়ে নির্বাচনী ক্যাম্প বন্ধ করে দেয় এবং বলে নৌকার পক্ষে কাজ না করলে, তোদেরকে গুলি করে মারা হবে, ঐ সময় সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

উত্তেজনার কথা জানতে পেরে বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের এস আই মাসুম বিল্লাহ তার পুলিশ সহকর্মীদের নিয়ে ঘটনা স্থলে পৌছান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।

এদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী সমর্থক কর্তৃকদের অভিযোগে অভিযুক্তরা বলছেন, মারধরের ঘটনা সত্য নয়, এটি মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন, আমরা শুধু তাদেরকে নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য বলেছি, কোন মারধর বা হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়নি বরং স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন আমাদেরকে মারবার জন্য ঐ সময় পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে বহিরাগতদের নিয়ে আসে,পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।

পোর্টথানা সুত্রে জানা যায়, সহিংসতার ঘটনায় দুই পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কারোর বিরুদ্ধে কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুন :