শর্তপূরনেও এমপিও হয়নি কলেজ দশমিনায় মানবেতর জীবন শিক্ষক-কর্মচারীর

প্রকাশিত : ৬ নভেম্বর ২০২১

সঞ্জয় ব্যানার্জী, দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দশমিনায় দীর্ঘ ১২ বছরেরও ডা. ডলি আকবর মহিলা কলেজ এমপিও না হওয়ায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন শিক্ষক-কর্মচারীর। উপজেলায় একমাত্র মহিলা কলেজ যা সরকারের সকল শর্তপূরনে আজও মেলেনি এমপিও। বেতনের অভাবে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীরা। তবে থেমে নেই উন্নত পাঠদান কার্যক্রম। চরম আর্থিক সঙ্কটে থেকেও শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদানেও কোনো প্রকার অবহেলা দেখা যায়নি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্যে।

জানা যায়, উপজেলা সদর ইউনিয়নে ডাঃ ডলি আকবারের সহযোগিতায় ২০০৯ সালে মহিলা কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর ২০১৪ সালে পাঠদানের স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয়। এরপর উপজেলার এই কলেজ নারী শিক্ষায় বিশেষ ভ‚মিকা পালন করে আসছে। যা বিগত ১০ বছরে এই প্রতিষ্ঠানে নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে উপজেলায় ব্যাপক সুনামের আলোরন সৃষ্টি হয়েছে। কলেজটি ধারাবাহিকভাবে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখছে। ভালো ফলাফল করে সুনাম বয়ে এনেছে। কিন্তু কলেজটি এমপিও ভুক্ত না হওয়াতে এ প্রতিষ্ঠানে কর্মরতশিক্ষক-কর্মচারীরা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন।

গতমাসে সরকার ঘোষিত এমপিও ভুক্তির তালিকায় কলেজের নাম না থাকায় চরম হতাশা ব্যক্ত করছেন এলাকাবাসী ও কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। স্থানীয়দের দাবী, উপজেলায় একমাত্র মহিলা কলেজটি এমপিওভুক্ত করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন। কলেজটি যথাশীঘ্রই এমপিওভুক্ত করা হলে উপজেলার নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রগতি যেমন বাড়বে, তেমনি অবহেলিত প্রতন্ত অঞ্চলের শিক্ষার মান বারবে।

কলেজের প্রভাষক তপন কুমার জানান, এমপিও ভুক্তির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষিত এমপিও নীতিমালার ৮৫% শর্ত প‚রণ হলেও গত ২৩ অক্টোবর নতুন এমপিও ভুক্তির তালিকায় ডাঃ ডলি আকবার কলেজের নাম না থাকার কথা নয়। বর্তমানে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী পাঠদানে রয়েছেন কলেজে। কলেজটি যথাশীঘ্রই এমপিওভুক্ত করা হলে উপজেলার নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রগতি যেমন বাড়বে, তেমনি অবহেলিত প্রতন্ত অঞ্চলের নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে অনন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে।

 

আপনার মতামত লিখুন :