পদ্মা সেতুর রেল সংযোগে ভাঙ্গা-যশোর অংশের পুনর্বাসন শুরু

প্রকাশিত : ৩০ জানুয়ারি ২০২০

বাংলাদেশ রেলওয়ের বাস্তবায়নাধীন পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের (পিবিআরএলপি) দ্বিতীয় পর্যায়ে ভাঙ্গা হতে যশোর পর্যন্ত অংশের পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেসরকারি সংস্থা ডরপ-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, এ উপলক্ষ্যে বুধবার গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রকল্পের শুভ সূচনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্টের (সিএসসি) সহযোগিতায় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী বেসরকারি সংস্থা ডরপ উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব প্রকৌশলী গোলাম ফখরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।

আরো উপস্থিত ছিলেন সিএসসি’র ভারপ্রাপ্ত প্রধান সমন্বয়ক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জাকির আহ্‌মেদ, প্রকল্প ব্যবস্থাপক-৩ বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ডরপ এর চেয়ারম্যান মো. আজহার আলী তালুকদার, রেলওয়ের চিফ রিসেটেলমেন্ট অফিসার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সিএসসির তত্ত্বাবধানে ডরপ পিবিআরএলপি পূনর্বাসন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে। রেলওয়ে পদ্মা সেতু ব্যবহার করে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেল সংযোগ স্থাপন করবে। প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে (ফেইজ-২) প্রকল্পে ৮২ কিলোমিটার রেলপথে ৫১১৮ পরিবার রয়েছে। প্রকল্পটিতে ৪৪১.৩৪ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। ২০২১ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী ‘ডরপ’ প্রকল্প এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা জরিপসহ, জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত নগদ ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তিতে সহায়তা, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন এবং দুস্থ ও দরিদ্রদের জীবিকায়ন পুনস্থাপন প্রশিক্ষণ সহায়তা প্রদান করবে।

উল্লেখ্য, প্রথম ধাপের ঢাকা হতে মাওয়া হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২.৩৫ কিলোমিটার রেলপথে ক্ষতিগ্রস্ত ৭৭০৫ পরিবারের পুনর্বাসন কার্যক্রমটিও ডরপ ২০১৭ সাল থেকে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

 

আপনার মতামত লিখুন :