ডিসি-আরডিসি ও দুই সহকারী কমিশনার প্রত্যাহার

প্রকাশিত : ১৭ মার্চ ২০২০

কুড়িগ্রামে মধ্যরাতে সাংবাদিককে ধরে নিয়ে সাজা দেয়ার ঘটনায় ওই জেলার প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীনকে প্রত্যাহার করেছে সরকার। তাকে পরবর্তী পদায়নের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিমকে। সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (আরডিসি) নাজিম উদ্দীনসহ তিন কর্মকর্তাকেও প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই তিন কর্মকর্তাকেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে। বাকি দু’জন হলেন সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা ও এস এম রাহাতুল ইসলাম।

গত ১৫ মার্চ তারিখ উল্লেখ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে এই প্রত্যাহার ও নিয়োগের কথা জানানো হয়েছে। জানা গেছে, বিসিএস ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তা সুলতানা ২০১৮ সালের ৩ মার্চ থেকে কুড়িগ্রাম জেলার ডিসির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ২০১৯ সালে কুড়িগ্রামের ডিসি সুলতানাকে বদলী করা হয়। তখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক প্রভাবশারী কর্মকর্তার কারণে তার বদলীর আদেশ বাতিল করা হয়। গত শুক্রবার মধ্যরাতে স্থানীয় সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পরে মাদক মামলায় সাজা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আরিফুল ইসলামের অভিযোগ, জেলা প্রশাসনের আরডিসি (সিনিয়র সহকারী কমিশনার) নাজিম উদ্দীন বাড়িতে ঢুকে তাকে পেটান। আর এনকাউন্টারে দেওয়ারও হুমকি দেন। জেলা প্রশাসকের অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন লেখার কারণেই তার ওপর নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন আরিফুল।

কুড়িগ্রামের বাংলা ট্রিবিউনের জেলা প্রতিনিধি আরিফুলকে নির্যাতন এবং সাজা দেয়ার ঘটনায় দেশব্যাপী তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। পরের দিন শনিবার রংপুরের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার এ ঘটনার তদন্তে কুড়িগ্রাম যান। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের কথা জানানো হয়। গত রোববার আরিফুল ইসলামকে জামিন দেয়া হয়। তিনি অবশ্য এখনো জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকালই এ ঘটনায় কুড়িগ্রামের ডিসি মোছা. সুলতানা পারভীনকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

 

আপনার মতামত লিখুন :