নোয়াখালীতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত ১৬, ১৪৪ ধারা জারি

প্রকাশিত : ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

নোয়াখালীতে দলীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র আওয়ামী লীগের ত্রিমুখী ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে দু’জনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নোয়াখালীতে সোমবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ওই সংঘর্ষের পর জেলা শহর মাইজদী, দত্ত্বের ও হাট সোনাপুরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মো: শহিদুল ইসলাম।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার দাবিতে রোববার বিকেলে নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর পক্ষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিশাল শোডাউন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সামছুদ্দিন জেহান, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, আবদুল মমিন বিএসসি, আতাউর রহমান নাছের, জেলা যুবলীগ আহ্বায়ক ইমন ভট্ট, যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল হক বিপ্লব প্রমুখ।

একপর্যায়ে সমাবেশ শেষ পর্যায়ে পৌর বাজারের সামনের থেকে জিলা স্কুলের সামনে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন শাহীনের সমর্থনে একটি মিছিল আসার চেষ্টা করলে এমপি সমর্থকদের ধাওয়া খেয়ে ব্যর্থ হয়ে ও পুলিশের তোপের মুখে তারা মফিজ প্লাজার দিকে চলে যায়।

এ সময় বিক্ষুদ্ধরা তিন-চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এতে ১০ জন আহত হয়। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়সহ এমপি সমর্থকরা প্রধান সড়ক দখলে নেয়। পরে পৌর মেয়র শহিদ উল্যাহ খান সোহেলের সমর্থনে একটি মিছিল বের হয়ে প্রধান সড়কের দিকে যাওয়ার পথে এমপি সমর্থকরা বাধা দেয়। এতে দু’পক্ষের ধাওয়া পাল্টাধাওয়া হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

পরে তারা পৌর ভবনে অবস্থান নেয়। এ দিকে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ রাস্তায় টহলে রয়েছে ও মাইজদী শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো: শহিদুল ইসলাম জানান, ১৪৪ ধারা জারির পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল পরিমাণ সদস্য মাঠে রয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :