হত্যা ও ধর্ষন মামলার আসামী ছক্কু বাহিনীর ভয়ে দেশে আসতে পারছেনা প্রবাসী শরিফ

প্রকাশিত : ২০ আগস্ট ২০২১

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মাদক সংক্রান্ত একটি সংবাদে শেয়ারকে কেন্দ্র অব্যাহত হুমকী প্রদান করছে বাহরাইন প্রবাসী মো.শরিফ হোসেনকে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ভুইয়াপাড়া এলাকার মৃত.আলকাস ভুইয়ার ছেলে একাধিক মামলার আসামী আবুল কালাম ছক্কু ও তার ভাতিজা আলী হোসেন ডানু। একাধিক মামলার আসামী আবুল কালাম ছক্কু গোদনাইল তাতখানা এলাকার আরেক দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসী নাভানা সিটিতে ডাকাতি করতে গিয়ে র‌্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে আহত আমির হোসেন মেঙ্গার ছোটভাই।

প্রবাসী শরিফ হোসেন জানান, ছক্কুর ভাতিজা আলী হোসেন ডানু মোবাইল মেসেঞ্জারে একটি ভয়েস রেকর্ড পাঠিয়ে বিভিন্ন হুমকী প্রদান করছে। সে নাকি এলাকাতে মাদক বিক্রি সেবন করি এমনকি ১২ বছর আগেও একটি মার্ডার করছি তাতেও কেউ কিছু করতে পারেনি। মানুষ মারাটা আমাগো কাছে কোন ব্যাপার না। এটা সেকেন্ডের ব্যাপার। মানুষ মারতেও কোন দ্বিধাবোধ করেনা। তুই এলাকার ছোটভাই তুই আমাদের এ বিষয়গুলো কোন শেয়ার করিসনা। সে আরও জানায়,আমিতো প্রবাসে আছি কিন্তু ওরা আমার পরিবারকে সর্বদা হুমকী প্রদান আসছে। আমি জেলা পুলিশ সুপার ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মহোদয়কে অনুরোধ করে বলবো আপনারা প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিন। আমি কিছুদিনের মধ্যে প্রবাস থেকে দেশে ফিরবো কিন্তু ওদের অব্যাহত হুমকী ফলে আমার জীবনকে নিয়ে শংকার মাঝে পড়েছি।

শুধু ভাতিজা আলী হোসেন ডানুই নয় চাচা আবুল কালাম ছক্কু প্রতিনিয়ত হুমকী প্রদান করছেন। ছক্কু আমার মোবাইল মেসেঞ্জারে একটি ভয়েস পাঠায় সেখানে তিনি আমাকে বলেন,কুত্তার বাচ্চা তুই ফোনটা ধর। তোর কইলজাটা হাতে নিয়া দেখমু। ওরা আমাকে এভাবেই হুমকীর মুখে রেখেছে। একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসেবে আমি উক্ত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দ্রæত বিচারের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছেও আকুল আবেদন জানাচ্ছি। সেই সাথে জেলা পুলিশ সুপার,র‌্যাব-১১ এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জের কাছেও বিনীত অনুরোধ করছি তাদেরকে দ্রæত আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক। তাদেরকে দ্রæত আইনের আওতায় না আনা হলে এলাকার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশংকা রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :