AIDS নির্মূলে কাজ করছে, বাধন হিজড়া সংঘ

প্রকাশিত : ২৮ জুন ২০২১

হৃদয় হাসান: বাংলাদেশ সরকার ঘোষনা দিয়েছে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এইড্স মুক্ত হবে। সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বাধন হিজড়া সংঘ। সরকারের এ লক্ষ বাস্তবায়নের জন্য বাধন হিজড়া সংঘ প্রায় প্রতি মাসেই সমাজের সকল শ্রেনীর লোকদের সমন্বয়ে সভা সেমিনার ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তারই ধরাবাহিকতায় গ্লোবাল ফান্ড এর আর্থিক সহযোগিতায় আইসিডিডিআরবি ও বন্ধুর ব্যবস্থাপনায় বাধন হিজড়া সংঘ, বাড্ডা ডিআইসির উদ্যোগে এইচআইভি/এইডস বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গত ২৭.০৬.২০২১ তারিখ রোজ রবিবার বেলা ০৩:০০ ঘটিকায় রতœ গর্ভা ফরিদা জামান স্কুল ও কলেজ, উত্তর বাড্ডা ঢাকাতে করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাড্ডা থানার সাব ইন্সপেক্টর মোঃ আশরাফুল ইসলাম, বিশেষ অতিথী ছিলেন রত্ন গর্ভা ফরিদা জামান স্কুল ও কলেজ এর সম্মানিত ডিরেক্টর এস এম আনোয়ারুল ইসলাম ও প্রিন্সিপাল ফেরদৌসি বেগম এবং বাড্ডা ডিআইসি’র ম্যানেজার আমিনুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন মোঃ আশরাফুল ইসলাম, রতœগর্ভা ফরিদা জামান স্কুল ও কলেজ এর সম্মানিত ডিরেক্টর এসএম আনোয়ারুল ইসলাম, প্রিন্সিপাল ফেরদৌসি বেগম, বাধন হিজড়া সংঘের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মোঃ সাইফুল হাসান।

সভায় বক্তাগণ বলেন- এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধ করতে হলে প্রথমে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে। নিজে সচেতন হতে হবে এবং অন্যকে সচেতন করতে হবে। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে সকলের অংশগ্রহনে সামাজিকভাবে এইডস প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সভায় হিজড়া জনগোষ্ঠীর মৌলিক চাহিদা শিক্ষা, বাসস্থান ও কর্মসংস্থান বিষয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সাংবাধিক, আইনজীবী, শিক্ষক, ইমাম, এনজিওকর্মী, হিজড়া প্রতিনিধি বিশিষ্ট হিজড়া গুরু জনাবা পলি ইসলাম ও সিভিল সোসাইটির সদস্যবৃন্দ।

বক্তাদের গুরুত্বপূর্ন বক্তবে জানা যায়। সর্বপ্রথম এইডস ধরা পড়ে ১৯৬৯ সালে এ যাবৎকাল দেশে মোট এইডস রোগীর সংখ্যা ৮০৩২ জন, তার মধ্যে এইডস আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৩৮৩ জন রোগী। সনাক্তের তুলনায় বর্তমানে আক্রান্তের হার- ০.০১ভাগ, যা খুবই সামান্য। তবুও এটা কাম্য নয় জানিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন তারা। এইডস বিষয়ে বলতে গিয়ে বাড্ডা ডিআইসি ম্যানেজার জানান- এইডস আক্রান্ত রোগী রোগ গোপন না করে যদি প্রাথমিক অবস্থা থেকে চিকিৎসা গ্রহন করা শুরু করেন তবে তিনিও আর দশ জন সুস্থ মানুষের মতো স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন বাধন হিজড়া সংঘের প্রধান কাজ হলো এইডস এর বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা, রোগ নির্নয় করা ও চিকিৎসা প্রদান করা। তবে তার জন্য সকল মানুষকে টেষ্টের আওতায় আনতে হবে। তিনি এ ব্যাপারে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন। সকলের সয়যোগীতা পেলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে এইডস নির্মূল করে, সরকারের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

 

আপনার মতামত লিখুন :