যে কারণে মামু’নুল হক গ্রেফ’তার

প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল ২০২১

হেফা’জতে ইসলা’মের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামু’নুল হককে গ্রেফ’তার করা হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে নজর’দারিতে থাকার পর রোববার দুপুরে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ তাকে গ্রেফ’তার করে। তাকে গ্রেফ’তারের কারণ

জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। গ্রেফতারের পর রোববার দুপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) হারুন-অর-রশিদ বলেন, প্রমাণ পেয়েই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হারুন অর রশীদ বলেন, তার বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা, থানায় হামলা, রেজিস্ট্রার অফিসে হামলা, ভাঙচুরসহ অনেকগুলো মামলা রয়েছে। এসব মামলার তদন্ত চলছিল। আমরা দীর্ঘদিন ধরে তাকে নজরদারিতে রেখেছিলাম, পাশাপাশি এসব মামলার তদন্ত করছিলাম। তদন্তে

তার সুস্পষ্ট সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর মামুনুলকে তেজগাও থানায় নেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আগামীকাল তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে। তার রিমান্ড চাওয়ার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান ডিসি হারুন। ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের তাণ্ডবের বিষয়ে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না?- এমন প্রশ্নে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সেদিনের ঘটনা আপনারা সবাই দেখেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ৩ এপ্রিল সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টে ধরা পড়ার পর থেকেই মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক।

ঘটনার পর থেকেই পুলিশ তাকে নজরদারির মধ্যে রেখেছিল। এ ঘটনার পর হেফাজতের বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। হেফাজত নেতার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে সহিংসতার একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।

 

আপনার মতামত লিখুন :