কলাপাড়ায় তরমুজের বাজারে ক্রে’তা সং’ক’ট

প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল ২০২১

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ক্রে’তা সংক’টের কারনে লোক’সানের মূখে পড়েছে তরমুজ ব্যবসায়ীরা। করোনা সংক্র’মনের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সারা দেশের ন্যায় এ উপজেলায় চলছে লক’ডা’উন। তাই ঘর থেকে লোকজন বাহিরে বের হচ্ছে না। ফলে স্থানীয় বাজারগুলোতে তরমুজের চাহিদাও কমে গেছে। এছাড়া ক্রে’তা কমে যাওয়ায় কারনে অনেকের মজুদ করা তরমুজ প’চঁ’ন ধরতে শুরু করেছে বলে স্থানীয় তরমুজ ব্যবসায়িরা জানিয়েছেন।

তরমুজ ব্যবসায়িদের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধানখালী, চম্পাপুর, লতাচাপলী, ধুলাসার ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে এ বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে । মূলতঃ আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় কৃষক এর সুফল পেয়েছে। লগডা’উনের আগে অন্ততঃ অধি’কাংশ চাষী তাদের ক্ষেত বিক্রি করতে পেরেছে বিধায় চাষীরা ভাল দাম পেয়েছে তরমুজ’র। তবে খুচরা বিক্রেতারা ট্রাক মূলে তরমুজ ক্রয়ের পর হঠাৎ লগডাউন’র ঘোষনা আসায় পৌর এলাকায় লোক সমাগম কমে গেছে। ফলে দেখা দিয়েছে ক্রে’তা সং’কট।

তরমুজ ব্যবসায়ী ইউনুচ বলেল, লক’ডাউন কারনে ক্রে’তা শূন্য হয়ে পড়েছে। দুই চারটা যা বিক্রি করছি তাও ভাল দাম পাচ্ছি। ব্যবসায়ী মো.জলিল জানান, তিনি এক সপ্তাহ আগে তরমুজ কিনেছেন। বিক্রি কম হওয়ায় তার কিছু কিছু তরমুজে পচঁন ধরেছে। অপর তরমুজ ব্যবসায়ী মো.আনসার আলী জানান, হঠাৎ খাওতা কমে গেছে। কাঁচা মাল মজুদ করারও কোন সুযোগ নেই। তার অন্ততঃ সহ¯্রাধিক পিস তরমুজ কেনা ছিল। লগডা’উনের পর থেকে ক্রেতা কমে যাওয়ায় তরমুজ বি’ক্রি করতে পারেননি। আগে ভাগেই তরমুজ ক্ষেত কিনে বিপাকে পড়েছি। বি’ক্রি করে উঠতে পারলে ভাল। না হয় লোকসান’র বোঝা বহন করতে হবে বলে এই তরমুজ ব্যবসায়ি জানিয়েছেন।

কলাপাড়া বন্দর সমিতির অর্থ সম্পদক মো. ফরিদ উদ্দিন বিপু বলেন, করোনা সংক্র’মনের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সারা দেশের ন্যায় কলাপাড়ায় চলছে লকডাউন। তাই ঘর থেকে লোকজন বাহিরে বের হচ্ছে না। ফলে স্থানীয় বাজারগুলোতে তরমুজের চাহিদাও কমে গেছে। ফলে তরমুজ ব্যবসায়ীরা লোকসানের শং’কা রয়েছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, এ উপজেলা ১৫’শ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। ফলনও ভাল হয়েছে। লকডাউনের আগে ভাগেই চাষীরা ক্ষেতের তরমুজ বি’ক্রি করে দিয়েছে। ওইসময় তারা দামও ভাল পেয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

 

আপনার মতামত লিখুন :