মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানেনি, তাই সরকার ‘লকডাউন’ দিয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ৭ এপ্রিল ২০২১

সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট মহামারি মোকাবিলা করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, প্রতিরোধের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। সেজন্য মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং হাত ধোয়াসহ অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন।এবার স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয় ‘সকলের জন্য সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর বিশ্ব গড়ি’।

জাহিদ মালেক বলেন, করোনার পৃথিবীকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। আমরা করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা করছি। হাসপাতাল বেড়েছে, আইসিইউ বেড়েছে। করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেড়েছে। দেশে টিকাদান কার্যক্রম চলছে। এরপরও করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছি না।

তিনি বলেন, করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে ক্যানসার, কিডনি, স্ট্রোকের রোগীসহ অন্যান্য সংক্রামক রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে, তাদের চিকিৎসা দিতে পারছি না। করোনায় সংক্রমণের হার কমিয়ে আনা গিয়েছিল। কিন্তু মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানেনি, টিকা নিয়ে উদাসীনতা দেখিয়েছে। দলবেঁধে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছে। বিয়েসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে মাস্ক ছাড়া, সামাজিক দূরত্ব না মেনে জড়ো হয়েছে। এসব কারণে এখন সংক্রমণের হার অনেক বেশি বেড়ে গেছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানেনি, আর তাই সরকারকে লকডাউন দিতে হয়েছে। একইসঙ্গে ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। এখন লকডাউন চলছে। মানুষকে এখন ১৮ দফা নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য, অর্থনীতির জন্য সাধারণ মানুষকে সবকিছু ভেবে কাজ করতে হবে।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এবং মৃত্যু বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অবস্থায় জনগণকে অবশ্যই আরো সচেতন হতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে রোগীদের সেবা কার্যক্রম বৃদ্ধির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন কার্যকরী উদ্যোগ নিয়েছে। করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য সাধারণ ১০০ শয্যা, ২০ কেবিন এবং ১০ আইসিইউ শয্যা নতুন করে সংযোজন করেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, করোনার সময়ে আমরা সবাই যোদ্ধা, সবাই কাজ করে যাচ্ছি। করোনায় যত লোকের প্রাণহানি হচ্ছে, তার চেয়ে অনেক বেশি মারা যায় ক্যানসার, যক্ষ্মাসহ আরো কিছু রোগে জানিয়ে অধ্যাপক আবুল বাসার বলেন, সেই হিসাব যেন ভুলে না যাই। করোনার এই সময়ে এর পাশাপাশি যেন আমরা এসব চিকিৎসাও চালিয়ে নিতে পারি। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য দিবসের মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রামক রোগ বিভাগের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. নাজমুল হক।

আপনার মতামত লিখুন :