এবার কাদের মির্জাকে আ’লীগ থেকে অব্যাহতি: স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ

প্রকাশিত : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে সংগঠনের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। পাশাপাশি, দলের গঠনতন্ত্রপরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে সুপারিশ করা হয়েছে। শনিবার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সাংসদ মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল কাদের মির্জা সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কয়েক সপ্তাহ ধরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে গুরুতর আহত করেছেন।

তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে মিথ্যা, অশালীন ও আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে সংগঠনবিরোধী অশোভনীয় মন্তব্য ও নেতা-কর্মীদের হুমকি দিয়েছেন। এসব অভিযোগে আবদুল কাদের মির্জাকে সংগঠনের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে আবদুল কাদের মির্জার মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

এদিকে, চাপরাশীর হাটে অনুসারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে কাদের মির্জার আহ্বানে হরতালের সমর্থনে মিছিল চলাকালে পুলিশ লাঠিপেটা করেছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হরতালের সমর্থনে মির্জা কাদেরের সমর্থিত নেতাকর্মীরা বসুরহাট বাজারের রূপালী চত্বরে জড়ো হয়। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে থানার সামনে গেলে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিপেটা করে। মির্জা কাদেরের সমর্থকদের দাবি, সকালের দিকে পুলিশ মারমুখী আচরণ করে, এ সময় পুলিশের লাঠিপেটায় তাদের অন্তত ১০জন নেতাকর্মী আহত হন।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ এক সাংগঠনিক নির্দেশনায় জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের অনুমোদন ছাড়া সংগঠনের কোনো শাখার (ইউনিট, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌর, থানা, উপজেলা, জেলা ও মহানগর শাখা) কমিটি বিলুপ্ত করা যাবে না। এছাড়া কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের অনুমোদন ছাড়া সংগঠনের কোনো শাখার কাউকে বহিষ্কার, অব্যাহতি প্রদান করাও যাবে না।

আপনার মতামত লিখুন :