বিশ্ব ভালবাসা দিবসে- কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের মেলা

প্রকাশিত : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১

আনোয়ার হোসেন আনু, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: শীতের শীর্নতা কাটিয়ে ফুলে ফুলে সেজে উঠেছে প্রকৃতি। বসন্তের উথাল-পাথাল উদাসী হাওয়ায়, ফাগুনের রঙ হৃদয়ে ধরে, প্রকৃতির নৈসর্গিক ছোয়া পেতে হাজারো পর্যটকের পদচারনায় মুখরিত সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা । স‚র্যোদয়-স‚র্যাস্ত, সমুদ্রের ঢেউ, সাগরের বুকে জেগে ওঠা নতুন চর, সবুজ বনানীর আপার ছোয়া আর গঙ্গামতির চরে লাল কাকড়ার অবাধ বিচরন বিমোহিত করে এখানে বেড়াতে আসা পর্যটকদের। রয়েছে উপজাতি রাখাইন স¤প্রদায়ের জীবনাচর ও সংস্কৃতির সেতুবন্ধন, সুন্দরবনের একাংশ ফাতরার বনের দৃশ্য উপভোগের সুযোগ।

শীতের হিমেল পরশ লেগে থাকা ফাগুনের প্রথম দিনে, প্রকৃতির ছোয়ায় দু:খ-বেদনা, ক্লান্তি-শ্রান্তি ভুলে পর্যটকরদের আনন্দ-উম্মাদনায় পুরো সৈকত জুড়ে বিরাজ করছে এক উৎসব মুখর পরিবেশ। তবে সমুদ্র সৈকতে পর্যটকরা স্বাস্থ্যবিধি মানতে নারাজ। পর্যটকরা জানান, সমুদ্রের হিমেল হাওয়া তাদের শরীর ও মনকে প্রফুল্ল করেছে। এখানে আসার সময় মাস্ক পরে আসলেও সৈকতে এসে মাস্ক খুলে রেখে মুক্ত হাওয়ায় নিঃশ্বাস নিতে পেরে নতুন জীবন ফিরে পেয়েছেন।

বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও বসন্ত বরণে কুয়াকাটা সৈকতে যেন হাজার হাজার পর্যটকদের মেলা বসেছে। ভালোবাসা দিবস ও বসন্তের প্রথম প্রহরে সমুদ্র সৈকতে পরিবার পরিজন নিয়ে ভ্রমণে এসেছেন শিশু থেকে শুরু করে নানা বয়সের পর্যটকরা। কেউ বা আবার প্রেমিক প্রেমিকা নিয়ে এসেছে সমুদ্রের মুক্ত হাওয়ায় নিজেদের ভাসিয়ে দিতে। কোন কোন পর্যটক যুগল নতুন বিবাহের পর কুয়াকাটা সৈকতে ভালোবাসা দিবসে হানিমুন করতে এসেছে। বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস একই দিনে হওয়ায় কুয়াকাটা সৈকতে অসংখ্য পর্যটকের আগমন ঘটেছে। আবাসিক হোটেল মোটেল গুলোতে রুম সংকট দেখা দিয়েছে। খাবার হোটেল,ঝিনুকের দোকান,শুটকী মার্কেটসহ পর্যটনমূখী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোতে বেচাকেনার ধুম পরে গেছে।

ঢাকা থেকে ভ্রমনে আসা পর্যটক যুগল হিমেল ও বিথি বলেন, তারা কিছুদিন হয়েছে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। তাই প্রথম হানিমুন কাটাতে ভালোবাসা দিবসে কুয়াকাটা এসেছে। কুয়াকাটা সৈকতে এসে ্এখানকার সমুদ্র,সমুদ্রের ঢেউ ও প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখে বিমোহিত তারা। পর্যটক যুগল আরও বলেন, বিবাহের পর হানিমুনে কুয়াকাটা সৈকতে ভ্রমণ স্বরণীয় হয়ে থাকবে। অভিজাত আবাসিক হোটেল ওশান ভিউ’র ব্যবস্থাপক মোঃ আল আমিন জানান, বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার থেকে তাদের হোটেল বুকিং রয়েছে। রুমের সংকট থাকায় চাহিদা অনুযায়ী তারা রুম দিতে পারছেন না।

কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম এ মোতালেব শরীফ জানান, করোনা মহামারিরর প্রার্দুভাবের মধ্যেও ভালোবাসা দিবসে কুয়াকাটায় হাজার হাজার পর্যটক এসেছে। আগত এসব পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাধ্যমত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন’র সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সোহরাব হোসাইন জানান, বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসে পর্যটকদের বাড়তি চাপ থাকলেও নিরাপত্তায় কোন ঘাটতি নেই। পর্যটকরা যাতে নিরাপদে বিভিন্ন দর্শনীয় স্পট ভ্রমণ করতে পারেন এজন্য তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরী করেছেন। পাশাপাশি ভ্রাম্যমান টহল টিম মাঠে রয়েছে অপ্রতিকর ঘটনা রোধে।

আপনার মতামত লিখুন :