রাজাপুরে জীর্ণ ভাঙা খুপড়ি ঘরে বসবাস করা বৃদ্ধ রাহিমার মুখে হাসি

প্রকাশিত : ১৬ জানুয়ারি ২০২১

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠির রাজাপুরের গালুয়া ইউনিয়নের জীবনদাসকাঠি গ্রামের বৃদ্ধ অসহায় রহিমা বেগম-আব্দুল মান্নাফ দম্পত্তি জীর্ণ ভাঙা খুপড়ি ঘরে শীত ও বৃষ্টিতে মানবেতর জীবনযাপনের খবর পেয়ে নেই বাড়িতে ঢেউ টিন, চাল-ডাল কম্বল ও নগদ অর্থ নিয়ে ছুটে গেছেন ঝালকাঠির তরুন ব্যবসায়ী সমাজসেবক ছবির হোসেন। শনিবার দুপুরে অটোতে করে ২ বান্ডিল ঢেউ টিন, ১ বস্তা চাল, ডাল, আলু, তেল ও কম্বল এবং নগদ অর্থ নিয়ে ওই বাড়িতে হাজির হন।

এ সময় সাংবাদিক পলাশ রায়, রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি রহিম রেজা ও সাংবাদিক আতিকুর রহমানসহ সুধীজন উপস্থিত ছিলেন। বৃদ্ধা রহিমা বেগম জানান, তিনি অন্যের বাড়িতে ও রাস্তার পাশে মাটি দেয়ার কাজ করাসহ যখন যে কাজ পায় তাই করে দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোগার করতেই কষ্ট হচ্ছিল। অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসা এবং ওষুধ খরচ মেটানো অনেক কষ্টসাধ্য বিষয় হওয়ায় ৩ বছর ধরে ঘরের অবস্থা একদম বেহাল হয়ে গেছিলো। ছবির হোসেনের এ সহযোগীতায় নতুন করে আবার ঘর মেরামত করে বসবাস করতে পারবেন।

তিনি ছবির হোসেনের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা করেন এবং তার জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন। ঝালকাঠি শহরের তরুন ব্যবসায়ী সমাজসেবক ছবির হোসেন জানান, রহিমা বেগমের কষ্টের জীবনযাপনের খবর দেখে মনটা ভীষন খারাপ হয়ে গেছিলো। তাই নিজ অর্থায়নে ২ বান্ডিল ঢেউ টিন, ১ বস্তা চাল, ডাল, আলু, তেল ও কম্বল এবং নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগীতা করেছি। এটা আমার দায়িত্ব। মানুষকে কিছু দিতে পারলে আমি পরিতৃপ্তি পাই। সকলের উচিত সমাজের অসহায় ব্যক্তিদের পাশে দাড়ানো। ছবির হোসেন ১১শ করোনার কীট কিনে হাসপাতালে দান করা, অসহায় সবিতা রাণীকে জুতার দোকান দিয়ে দেয়া, সবজির দোকান ও ভ্যান দেয়াসহ করোনায় খাদ্য সহায়তা ও বিভিন্ন অসহায় দরিদ্র ব্যক্তি ও পরিবারকে দীর্ঘদিন ধরে সহায়তা করে আসছেন।

 

আপনার মতামত লিখুন :