অসুস্থ প্রতিবন্ধী মিলন বাঁচতে চায়

প্রকাশিত : ১৬ জানুয়ারি ২০২১

সজ্ঞিব দাস, গলাচিপা, পটুয়াখালী। পটুয়াখালীর গলাচিপায় দুই বছর বয়সের সময় লিমনের (১৪) টাইফয়েড আক্রান্ত হয়। পরে নিউমোনিয়া হয়ে তার ডান হাত ও ডান পা প্যারালাইজড হয়ে যায়। এরপর ডাক্তার দেখানো শুরু হতে থাকে। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হয়নি। গত তিন বছর পূর্বে সে একদিন বাথরুমে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এরপর থেকেই এই অজ্ঞান হওয়া রোগ তার নিত্য দিনের সঙ্গী হয়ে যায়। শুধু তাই নয় অজ্ঞান হওয়া রোগের সাথে সাথে তার নানান উপসর্গ দেখা দিয়েছে। সে এখন ঠিকমত কথা বলতে পারেনা বর্তমানে সে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। এদিকে চিকিৎসকের পরামর্শে চিন্তিত মিলনের পরিবার। তার মস্তিস্কে পানি জমেছে তাই সে কিছু সময় পর পর অজ্ঞান হয়ে পড়ে এবং ঠিকমত কথা বলতে পারে না।

তার এখন উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। কিন্তু অভাবের কারণে তার পরিবার চিকিৎসার ভার বহন করতে পারছেন না। চিকিৎসার অভাবে ধুকে ধুকে সে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। লিমন পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম কালিকাপুর গ্রামের মহিউদ্দিন মাতব্বরের ছেলে ও গলাচিপা আইডিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা খেটে খাওয়া একজন দিন মজুর। একদিন কাজ না করলে সংসারের সবাইকে না খেয়ে দিনাতিপাত করতে হয়।তাদের একমাত্র সম্বল শুধূ পৈত্রিক ভিটায় অবস্থিত জড়াজীর্ণ একটি টিনের ঘর। এ ছাড়া কোন জমাজমি কিছুই নেই। প্রতিবন্ধী ছেলের দেখাশুনা সহ সাংসারিক দায়িত্ব পালন করতে তার মায়ের দিন কেটে যায়। সংসারে বাবা-মা সহ অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া লিমনের আর একটি ছোট বোন রয়েছে।

জানা গেছে, লিমনের পরিবার সংসারে নানা অভাব অনটনের মধ্যেও বরিশাল ও ঢাকায় গিয়ে ছেলের চিকিৎসা করিয়েছেন।
বরিশালের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. তপন কুমার সাহা ও ঢাকার কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক
(মেডিসিন, হার্ট ও বাতজ্বর বিশেষজ্ঞ) ডা. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির তার চিকিৎসা করেন। চিকিৎসকরা নিমনের অবিভাবকে পরামর্শ দিয়েছেন , দেশের বাহিরে (বিদেশে) নিয়ে গিয়ে লিমনের ব্রেণ অপারেশন করালে তাকে সুস্থ হয়ে যেত। লিমনের মা লায়লা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন,” আমার একমাত্র ছেলে টাকার অভাবে বিনাচিকিৎসায় বাড়িতে বসে চোখের সামনে দিন দিন খারাপের দিকে যাইতেছে। তার এখন বিদেশে নিয়া ব্রেণ অপারেশন করাতে হবে। এত টাকা কোথায় পাব তা ভেবে পাচ্ছিনা। আমার ছেলেরে বুঝি আর বাঁচাইতে পারলাম না।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার আকুল আবেদন, তিনি যদি আমার ছেলের চিকিৎসার ভার গ্রহণ করতেন তাহলে হয়ত আমার ছেলেকে বাঁচাতে পারতাম। এছাড়া কোন হৃদয়বান ব্যক্তি যদি মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন তবে তাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকতাম।সাহায্যের জন্য যোগাযোগঃ মোসা. লায়লা বেগম, সোনালী ব্যাংক, গলাচিপা শাখার সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর-১০০০১৮৮৮৮ এবং মোবাইল০১৯৯১৪৪২৩৪৯(বিকাশ)”।

 

আপনার মতামত লিখুন :