বাইডেনের শপথকে ঘিরে ‘সশস্ত্র বিক্ষোভের’ ডাক ট্রাম্প সমর্থকদের

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিষেকের আগে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ‘সশস্ত্র বিক্ষোভের’ আশঙ্কা করছে দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। বিবিসি জানায়, ট্রাম্প সমর্থক ও উগ্র-দক্ষিণপন্থীদের অনলাইন নেটওয়ার্কগুলো সশস্ত্র বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। ইতিমধ্যে এএফবিআই এ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে। ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেকের আগেই ওয়াশিংটন ডিসি এবং ৫০টি অঙ্গরাজ্যের সবগুলোর রাজধানীতে সমাবেশ করার পরিকল্পনা করছে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী।

ওয়াশিংটনে ক্যাপিটল ভবনে ট্রাম্প-সমর্থকদের হামলার পর থেকেই জো বাইডেনের শপথ গ্রহণকে সামনে রেখে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। ওই ঘটনায় পুলিশসহ ৫ জন নিহত হয়। যদিও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলছেন, ৬ জানুয়ারির মতো নিরাপত্তা বেষ্টনী লঙ্ঘনের ঘটনা আর ঘটতে পারবে না। তবে ট্রাম্প-সমর্থক এবং উগ্র-ডানপন্থী অনলাইন নেটওয়ার্কগুলো বিক্ষোভের একাধিক তারিখ ঘোষণা করেছে।

এর একটিতে বলা হয়, আগামী ১৭ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন শহরে সশস্ত্র বিক্ষোভের ডাক দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বাইডেনের অভিষেকের দিন ২০ জানুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি পদযাত্রা হবে। এ পরিস্থিতিতে সতর্কতা দিয়ে এফবিআইয়ের একটি অভ্যন্তরীণ বুলেটিন মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজসহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। গোয়েন্দা সংস্থাটির সতর্কবাণী দেয়া হয়, একটি গোষ্ঠী সারা দেশে ফেডারেল, রাজ্য ও স্থানীয় আদালত ভবনগুলোতে জোর করে ঢুকে পড়ার আহ্বান জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, ট্রাম্পকে কোনোভাবে মেয়াদ শেষের আগেই সরিয়ে দিলে এটা করা হবে, আর তা না হলে নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেকের দিনে এ ঘটনা ঘটানো হবে। এদিকে বাইডেনের শপথের আগে নিরাপত্তা জোরদারে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। একই সঙ্গে তিনি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকেও নির্দেশ দিয়েছেন।

সাধারণত প্রেসিডেন্টরা কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তার লক্ষ্যে জরুরি অবস্থা জারি করে থাকেন। কিন্তু কংগ্রেসে নজিরবিহীন হামলার ঘটনার পর বাইডেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত হোয়াইট হাউস ও কংগ্রেসের আশপাশের সকল দোকানপাট, প্রশাসনিক ভবনসহ পাবলিক ক্যাটারিং বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া পেন্টাগনকে ওয়াশিংটন ডিসিকে রক্ষায় ১৫ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সৈন্য মোতায়েনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

সূত্র : বিবিসি জানা