গলাচিপায় সফল পাঁচ নারীর হাতে জয়িতা পুরষ্কার

প্রকাশিত : ৯ ডিসেম্বর ২০২০

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: ‘কমলা রঙের বিশ্বের নারী, বাধার পথ দেখেই পাড়ি’ শ্লোগানকে স্বার্থক করে দেখিয়েছেন উপকূলীয় এলাকার খাইরুন নাহার লিপি। শিক্ষকতা জীবনের শুরু থেকেই নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে। একটার পর একটা বাধা পেড়িয়ে অর্জন করেছেন।

আজ গলাচিপা উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক ঘোষিত ‘জয়িতা অন্বেষণ বাংলাদেশ’ কার্যক্রমের আওতায় শিক্ষা ও চাকরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা খাইরুন নাহার লিপি। অবশ্য তিনি এর আগেও জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০১৯-এ জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সহকার শিক্ষিকা নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তিনি বর্তমানে ঢাকা মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। বুধবার সকাল ১০টায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গলাচিপা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় ও জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।

গলাচিপা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমারের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. নজরুল ইসলাম, গলাচিপা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম মোস্তফা, গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালমা ওয়াহিদ, গলাচিপা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সমিত কুমার দত্ত মলয়, গলাচিপা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি সাজ্জাদ আহমেদ মাসুদ, সুশীলন আস্থা প্রকল্পের সিএমও মাহমুদুল হাসান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আ. মান্নান মিয়া, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস.এম দেলোয়ার হোসেন, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহবুব হাসান শিবলী, সাংবাদিক খালিদ হাসান মিল্টন প্রমুখ। এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পাঁচজন নারীকে জয়িতা পুরষ্কার প্রদান করা হয়।

এরা হলেন, শিক্ষা ও চাকরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী খাইরুন নাহার লিপি, সফল জননী মাকসুদা বেগম, অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অজর্নকারী নারী সাহিদা বেগম, নির্যতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী ক্যাটাগরিতে কহিনুর, সমাজসেবায় অবদান রেখেছেন যে নারী ক্যাটাগরিতে নুরজাহান। জানাগেছে, ২০০১ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসেব প্রথম যোগদান করেন পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার প্রত্যন্ত একটি বিদ্যালয়ে। বাবা গলাচিপা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যা আব্দুল খালেক মিয়া এবং মা পৌর কাউন্সিলর নাছিমা বেগমের একমাত্র মেয়ে লিপি। ইংরেজি সাহিত্যে ¯স্নাতকোত্তর ও এমএড সম্পন্ন করেছেন।

ছাত্র জীবনে সুন্দর হাতের লেখা ও সংগীতের জন্য শিশু একাডেমি থেকে পুরষ্কার লাভ করেছেন। খাইরুন বলেন, ব্যক্তিগত অর্থ থেকে প্রতিবছর চারজন শিক্ষার্থীকে স্কুল ইউনিফর্ম প্রদান করছি। এ ছাড়াও দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদেও নিয়মিত সাধ্যমতো শিক্ষা উপকরণ দিয়ে সহায়তা করার চেষ্টা করছি। কর্ম এলাকার ছিন্নমূল নেশাগ্রস্থ কয়েকজন শিশুকে বিদ্যালয়মুখী করা ছিল আমার বড় সফলতা। আর জয়িতা পুরষ্কারটি আমার দায়িত্ববোধ আরো বাড়িয়ে দিলো।

 

আপনার মতামত লিখুন :