হতাশায় ভুগছেন দশমিনার শীতের কাপড় ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত : ৭ ডিসেম্বর ২০২০

সঞ্জয় ব্যানার্জী, দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর দশমিনায় দিনের বেলায় ভ্যাপসা গরম আর রাতে শীত থাকলেও তার তীব্রতা কম। শীত না থাকায় হতাশায় ভুগছেন উপজেলার শীতের কাপড় ব্যবসায়ীরা। প্রকৃতি যেন দিন দিন হারিয়ে ফেলছে তার নিজস্বতা। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে ক্রমশ বদলে যাচ্ছে ঋতুচক্রের বৈশিষ্ট্য। শীতের প্রকোপ না থাকায় এর প্রভাব পড়েছে শীতবস্ত্রের ওপর কাঙ্খিত বেচাকেনা না হওয়ায় হতাশ বিক্রেতারা। একাধিক দোকানী বলছেন, শীতের প্রভাব কম থাকার কারনে কাঙ্খিত বেচাকেনা করা যাচ্ছে না।

শীতের তীব্রতা না থাকার কারণে শীতবস্ত্রের চাহিদাও বাড়েনি। এর ফলে শীতবস্ত্র বিক্রিতে বিরাজ করছে মন্দাবস্থা। গতকাল রোববার শেষ বিকালে উপজেলার সদরের চেয়ারম্যান মার্কেট, সদড়র রোড মার্কেট, মানিক মিয়া চত্তর মার্কেট ও নলখোলা বাজারের শীত পোশাকের দোকানসহ বিভিন্ন বিপণিবিতান ঘুরে শীতের পোশাকের দোকানে ক্রেতার ভিড় দেখা যায়নি খুব একটা। বেশিরভাগ দোকানেই শীতের কাপড়ের স্তুপ। এবার শীত না থাকার কারণে পাইকারি অর্ডার কম হয়েছে। যার ফলে নতুন কোনো ডিজাইনের শীতবস্ত্র আনছেন না দোকানদাররা। শীতই তো নেই, গরম কাপড় দিয়ে কী হবে- এমন কথাও শোনা গেছে ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে।

একাধিক বিক্রেতা বলছেন, তেমন শীত নেই। দিনের বেলায় গরম কাপড় ছাড়াই দিব্যি কাজকর্মে সময় কাটিয়ে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। রাতে গায়ে গরম কাপড় চাপাচ্ছেন, তবে সেসবও তেমন ভারী কিছু নয়। চাদর-মাফলার-টুপিতে কান-গলা-মাথা পেঁচিয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার মতো হাড়কাঁপানো শীত এবার এখনও নামেনি। যার কারণে শীত পোশাক বিক্রি নেই বললেই চলে।
সড়কের পাশে শীতের পোশাক বিক্রেতা মোঃ হাবিব বলেন, এবার শীত কম তাই বিক্রি কম হচ্ছে। আমি গত ২৮বছর যাবৎ শীতের কাপড় চোপড় বিক্রি করে আসছি। তবে চলতি বছরের মত এত কম শীত দেখিনী। হতাশার সুরে চেয়ারম্যান মার্কেটের একাধিক পোশাক বিক্রেতা বলেন, এবারে যে পোশাক এনেছিলাম তা এখনও বিক্রি তেমন হচ্ছে না। মাল বিক্রি করতে না পেরে চিন্তায় আছি।

 

আপনার মতামত লিখুন :