সাতক্ষীরায় প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণে শিকার: ধর্ষক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত : ২৯ নভেম্বর ২০২০

মোঃ ইমরান সরদার,সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার আশাশুনির পল্লীতে আবারও এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় জনতা এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। শুক্রবার রাতে আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নে মাদারবাড়িয়া গ্রামে এঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষকের নাম নাজমুল হোসেন (২০)। সে আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নে মাদারবাড়িয়া গ্রামের হাসান সরদারের ছেলে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নে মাদারবাড়িয়া গ্রামের সরদার বাড়ীর শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরী (১৭) ঘটনার দিন বিকালে বাড়িতে একা ছিল। পরিবারের সকলে পাশে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। এ সুযোগে পার্শ্ববর্তী হাসান সরদারের ছেলে নাজমুল হোসেন বিকাল ৫টার দিকে অনুষ্ঠান থেকে কিছু খাবার নিয়ে ওই বাড়িতে যায়। মেয়েটির কাছে খাবার দিতে গিয়ে বাড়িতে একা পেয়ে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে জোর করে ঘরের মধ্যে নিয়ে নাজমুল ধর্ষণ করে। স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে না পারা মেয়েটি চিৎকারের চেষ্টা করলেও শব্দ কারো কান পর্যন্ত পৌছায়নি। ধর্ষণের পর মেয়েটিকে ফেলে ধর্ষক নাজমুল দ্রুত বাড়িতে চলে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে ধর্ষিতার মা বাড়িতে পৌছলে মেয়ের অবস্থা বেগতিক দেখে জিজ্ঞাসা করলে ভীত সন্ত্রস্ত ধর্ষিতা কিশোরী তাকে ধর্ষণের ঘটনা ও ধর্ষকের নাম বলে দেয়।

এলাকাবাসী এঘটনা জানতে পেরে ধর্ষক নাজমুলকে আটক করে ওই বাড়িতে নিয়ে আসে। এসময় জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে ধর্ষককে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

এব্যাপারে ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী কিশোরীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :