কর্ম বিরতিতে বাংলাদেশ হেলথ এসিসট্যান্ট এসোসিয়েশন

প্রকাশিত : ২৭ নভেম্বর ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ: স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্য পরিদর্শক,সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক এবং স্বাস্থ্য সহকারীবৃন্দ দেশব্যাপী কর্ম বিরতি শুরু করেছে। গতকাল ২৬ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি চলবে দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত। কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গতকাল সকালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে সকল স্বাস্থ্যকর্মী দিনব্যাপী এই কর্ম বিরতিতে অংশনেয়।

এতে ইপিআই টিকাদান সহ সকল স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ হয়ে যায়। সরকারী চাকুরিতে বঞ্চনা,অবহেলা ও বৈষম্যের শিকার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কর্মরত স্বাস্থ্য পরিদর্শক,সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক এবং স্বাস্থ্য সহকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ হেলথ এসিসট্যান্ট এসোসিয়েশন এই ধারাবাহিক কর্মসূচী ঘোষনা করে। সংগঠনের ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জোয়ার্দ্দার এর নেতৃত্বে কর্ম বিরতিতে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইনচার্য দেলোয়ার হোসেন দিনার, নাজিম উদ্দিন জোয়ার্দ্দার, প্রকাশ চন্দ্র শর্মা, শামীম আহম্মেদ বাবু, অর্চনা শর্মা,জাহানারা খাতুন, আবু জাফর, জয়দেব, রাকিব, শামীমা সুলতানা, তানজীর আক্তার, নাজমা আক্তার, জিনাত রেহানা, সহ কর্মরত সকল স্বাস্থ্য সহকারীবৃন্দ।

আন্দোলনে অংশগ্রহন কারীরা বলেন, আমরা চাকরীর শুরু থেকে অবহেলিত,বঞ্চিত ও চরম বৈষম্যের শিকার। অথচ টিকাদান কর্মসূচিতে বাংলাদেশ বিশে^র রোল মডেল। শুধু টিকাদানে সাফল্য নয় এর ধারা বাহিকতায় আমরা অর্জন করেছি-মাতৃ মৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার কমানো, পোলিও, গুটি বসন্ত, হেপাটাইটিস মুক্ত বাংলাদেশ, যক্ষা নিয়ন্ত্রণ, হাম-রুবেলা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ স্বীকৃতি, নিউমোনিয়া, ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ, ধনুষ্টংকার মুক্ত বাংলাদেশের পুরস্কার অর্জন। মহামারী করোনা কালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা, মাঠ পর্যায়ে প্রথম থেকেই হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা, জনগণকে সচেতন করা, আক্রান্ত ব্যক্তির স্¦াস্থ্য শিক্ষা, ঔষধ পৌছানো, হাসপাতালে নেয়ার কাজটি স্বাস্থ্য কর্মীরাই করে আসছে।

এমডিজি-৪ অর্জন, সাউথ সাউথ পুরস্কার, দক্ষিণ এশিয়ায় টিকাদান কর্মসূচিতে প্রথম স্থান অর্জন, হাম-রুবেলা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অগ্রগতি পুরস্কারসহ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান গ্যাভি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ উপাধি দিয়েছে। তথাপিও আমাদের বেতন বৈষম্য ও বঞ্চনার নিরসন আজো হয়নি। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর বেতন বৈষম্যের ঘোষনা দেন, ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারী তৎকালীন স্বাস্থ্য মন্ত্রী দাবী মেনে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। গত ২০/০২/২০২০ ইং তারিখে হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন বর্জন করলে মাননীয় মন্ত্রী ও স্বাস্থ্য সচীব দাবী মেনে লিখিত সমঝোতা পত্রে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু সেই লিখিত সিদ্ধান্ত সমূহ আজও বাস্তবায়ন হয়নি। তারা দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দেয়।

 

আপনার মতামত লিখুন :