সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দশমিনায় লক্ষীপূজা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত : ৩১ অক্টোবর ২০২০

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। সারা দেশের ন্যায় পটুয়াখালীর দশমিনায় সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে লক্ষীপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৩০অক্টোবর) এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শাস্ত্রমতে দেবী লক্ষী ধনসম্পদ তথা ঐশ্বর্যের প্রতীক। এ ছাড়া উন্নতি (আধ্যাত্মিক ও পার্থিব), আলো, জ্ঞান, সৌভাগ্য, উর্বরতা, দানশীলতা, সাহস ও সৌন্দর্যের দেবীও তিনি।

শারদীয় দুর্গোৎসব শেষে প্রথম পূর্ণিমা তিথিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এই পূজার আয়োজন করে থাকেন। এ পূজা কোজাগরী লক্ষীপূজা নামেও পরিচিত। কোজাগরী শব্দটি এসেছে ‘কো জাগর্তী’ থেকে। সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, কোজাগরী পূর্ণিমার দিন দেবী নিশীথ রাতে প্রতিটি মানুষের গৃহে বলে থাকেন- কে আছো জেগে? হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, পূর্ণিমা রাতে দেবী লক্ষী ধনধান্যে ভরিয়ে দিতে হিন্দু স¤প্রদায়ের বাড়িতে বাড়িতে পূজা গ্রহণ করতে আসেন। লক্ষীদেবী সন্তুষ্ট থাকলে সংসারে অর্থকষ্ট থাকবে না ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে।

বাঙালি বিশ্বাসে লক্ষী দেবী দ্বিভুজা ও তার বাহন পেঁচা এবং হাতে থাকে শস্যের ভান্ডার। তবে বাংলার বাইরে লক্ষীর চর্তুভুজা কমলে-কামিনী মূর্তিই বেশি দেখা যায়। প্রায় প্রাতটি বাঙালি হিন্দুর ঘরে ঘরে লক্ষীপূজা করা হয়। এ উপলক্ষে হিন্দু নারীরা উপবাস ব্রত পালন করেন। হিন্দুদের ঘরে ঘরে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে অঞ্জুলি, প্রসাদ বিতরণ ও অতিথি আপ্যায়ন করা হয়। পূজা-অর্চনার পাশাপাশি ঘরবাড়ির আঙিনায় আঁকা হবে লক্ষীর পায়ের ছাপের আল্পনা।

আপনার মতামত লিখুন :