গাজীপুরে সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা আটক

প্রকাশিত : ১৬ অক্টোবর ২০২০

গাজীপুরে মোবাইলে কল করে ডেকে নিয়ে এক কলেজ শিক্ষার্থীকে (১৮) গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। অপরদিকে জেলার শ্রীপুর উপজেলায় সৎ মেয়েকে (৯) ধর্ষণের অভিযোগে তরিকুল ইসলাম (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের শিমুলতলী স্কুল গেট সংলগ্ন এলাকায় গণঘর্ষণের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের জৈনা বাজার এলাকার মাসুদ রানা (২৫) ও ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার গলগন্ডা গ্রামের আনন্দকে (২২) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা দুজনই গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চতর এলাকায় বসবাস করেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি’র) সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূইয়া জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কলেজ ছাত্রীর মুঠোফোনে কল দিয়ে জরুরি কথা আছে বলে শিমুলতলী বটতলা এলাকায় ওই শিক্ষার্থীকে দেখা করতে বলে নাঈম নামে এক সহপাঠী। কল পেয়ে ওই কলেজছাত্রী অটোরিকশায় শিমুলতলী বটতলায় যান। সেখানে আগে থেকেই নাঈম ও তার দুই সহযোগী আনন্দ ও মাসুদ রানা উপস্থিত ছিল। মেয়েটি ওইখানে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পর আনন্দ ও মাসুদ রানা সেখান থেকে চলে যায়। তারা দুজন চলে যাওয়ার পর পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নাঈম ওই কলেজ ছাত্রীকে একটি অটোরিকশায় করে শিমুলতলী স্কুল গেইট সংলগ্ন এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে পৌঁছানোর পর ওই কলেজ ছাত্রীর বিষয়টি সন্দেহ হলে সে কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

এসময় দুই সহযোগীকে নিয়ে ওই কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় নাঈম। চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। কলেজ ছাত্রী বর্তমানে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে আনন্দ ও মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই মামলার প্রধান আসামি নাঈম পলাতক আছে। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

অপরদিকে জেলার শ্রীপুর উপজেলায় সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা তরিকুল ইসলাম (৪০)-কে আটক কেরেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ। সে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে। শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ী শামসুদ্দিন মুন্সির বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। ধর্ষণের শিকার ওই মেয়ের মা জানান, সে খাবার হোটেলে রান্নার কাজ করেন। প্রতিদিন সকালে মেয়েকে ঘরে রেখে কাজে চলে যায়। এ সুযোগে গত দুই মাস পূর্বে আমার মেয়েকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। কয়েকদিন যাবত আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে সে আমাকে সবকিছু খুলে বলে।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন মিয়া জানান, দুই স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও গত কয়েক বছর পূর্বে আরেকটি বিয়ে করে তরিকুল। সে তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি শামসুদ্দিন মুন্সির বাড়িতে ভাড়া থেকে ট্রেন ও বাসে হকারি করে বিভিন্ন প্রকার পণ্য বিক্রি করে। তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আফছার উদ্দিনের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে অভিযুক্ত তরিকুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।

 

আপনার মতামত লিখুন :