ইন্টারনেটের অপব্যবহার রোধে সামাজিক সচেতনতা গড়তে লিফলেট বিতরণ

প্রকাশিত : ৯ অক্টোবর ২০২০

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রাজধানীর তোপখানা রোড, সেগুন বাগিচা, পুরানা পল্টন ও গুলিস্তান এলাকায় ইন্টারনেটের অপব্যবহার রোধে সামাজিক সচেতনতা গড়তে লিফলেট বিতরণ করেন।

এসময় মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “ইন্টারনেটের অব্যবহার শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতী, এমনকি বয়োবৃদ্ধদেরও অনিরাপদ করে তুলেছে দিনকে দিন। সরকার যেমন ঘরে ঘরে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে চাচ্ছে। ঠিক তেমনি ভাবে আমরাও সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট পেতে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু এ সেবার অপব্যবহার এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে সমাজে নারী নির্যাতন, শিশু নির্যাতন, কিশোর গ্যাং কালচার, পশ্চিমা সংস্কৃতির চর্চা ও অশ্লীল বিনোদন তীব্র মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। শিশু ও নারী ধর্ষণ এখন নিত্যনৈমেত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

তিনি বলেন, “করোনা মহামারির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে অনলাইনে ক্লাস করছে। আবার এসকল শিক্ষার্থীদের অনেকে ইন্টারনেট অপব্যবহার করার কারণে ইন্টারনেট আসক্তিতে পড়ছে। ঠিক তেমনি ভাবে মানসিক ও জৈবিক চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে ধর্ষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অনেক বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন।”

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, “রাষ্ট্রীয় ভাবে ইন্টারনেটের অপব্যবহার রোধে জনসচেতনতা গড়তে এখন পর্যন্ত সরকার, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, এমনকি ইন্টারনেট ব্যবসায়ীরাও কোন উদ্যোগ গ্রহণ করে নাই। আমাদের দেশে সাইবার আদালত খুব সীমিত। সাইবার নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও পর্যাপ্ত নয়। আবার আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিও ভিন্ন থাকায় অনেকে সাইবার মামলা করতে ভয় পায়।

অপব্যবহারকারীরা আইন সম্পর্কে সচেতন না থাকার ফলে অশ্লীল দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে প্রচার করে, ধর্ম নিয়ে কূটক্তি, রাষ্ট্রবিরোধী প্রচার সহ প্রতিনিয়তই অস্তির করে তুলেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে। দৈনিক ৫০-৬০টি সাইবার মামলা হচ্ছে সিআইডিতে। এরমধ্যে ৬৭.৯ শতাংশ নারী হয়রানি সম্পর্কিত। ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর ৪০ শতাংশ ব্যবহার পর্ণগ্রাফি দেখায় আসক্ত। এর পিছনে মূলত পর্ণগ্রাফি প্রদর্শনের মূল কারণ বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা। এর জন্য প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা ও অপব্যবহার বিরোধী প্রচারণা।”

 

আপনার মতামত লিখুন :