বিশ্ব শিক্ষক দিবস সফল হউক

প্রকাশিত : ৬ অক্টোবর ২০২০

মুজিববর্ষকে অবিস্মরণীয় করে রাখতে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শন তথা শিক্ষাব্যবস্থা অবিলম্বে জাতীয়করণ ঘোষণা করতে হবে। নতুবা ৩০ ডিসেম্বরের পর কঠোর আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে। ০৫ অক্টোবর “বিশ্ব শিক্ষক দিবস” উপলক্ষে “বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস) ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের” যৌথ উদ্যোগে আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক “বিশাল শিক্ষক সমাবেশের” আয়োজন করা হয়। উক্ত শিক্ষক সমাবেশে বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন “বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির” কেন্দ্রীয় সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের মুখপাত্র জনাব মোঃ নজরুল ইসলাম রনি এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন- বাশিসের মহাসচিব জনাব মোঃ মেজবাহুল ইসলাম প্রিন্স। উক্ত অনুষ্ঠানে গণসংহতির চেয়ারম্যান জুনায়েদ সাকি শিক্ষব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবির সাথে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়া বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক অবিলম্বে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে দাবী জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।

“বিশ্ব শিক্ষক দিবসের” আলোচনা সভায় শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন- পৃথিবীর ১৫১ টি দেশে “বিশ্ব শিক্ষক দিবস” আনুষ্ঠানিকভাবে পালিত হলেও বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপিত না হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন শিক্ষকনেতৃবৃন্দ। এদিনটিকে সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবী জানন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ২৫% ঈদ বোনাস দীর্ঘ ১৬ বছরেও পরিবর্তন হয়নি, ১০০০ টাকা বাড়ি ভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা নিয়ে করোনার এ দুঃসময়ে গৃহবন্দী শিক্ষক-কর্মচারীগণ চরম অর্থসংকটে। তাই অবিলম্বে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ ঘোষণা করে জাতির পিতার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে। বিশ্ব শিক্ষক দিবসের এই দিনে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ আরো বলেন- বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বহু আগেই মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ হতো।

অবিলম্বে বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদেরকে এমপিওভুক্তি, শিক্ষকদের জন্য বদলী ব্যবস্থা চালু, প্রতিষ্ঠান প্রধানদেরকে ৭ম গ্রেডের পরিবর্তে ৬ষ্ঠ গ্রেডে বেতন প্রদান, উচ্চতর গ্রেড এর জটিলতা নিরসন, কলেজ শিক্ষকদের অনুপাত প্রথা বাতিল করতঃ পদোন্নতিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাসহ অবিলম্বে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের জোর দাবী জানান শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আয় ফেরত নিয়ে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীযকরণ করা হলে সরকারের রাজস্বের তেমন কোন ঘাটতি হবে বলে জানান শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতকরণ এবং এসডিজি-৪ বাস্তবায়নে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের কোন বিকল্প নেই। দাবিটা শিক্ষকদের হলেও প্রয়োজনটা যে রাষ্ট্রের এতেও কোন সন্দেহ নেই। তাই শিক্ষা জাতীয়করণ হলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে দরিদ্র জনগোষ্ঠী, সর্বোপরি সরকারের।

শিক্ষক সমাবেশে বিভিন্ন জেলার নেতৃবৃন্দসহ জোট নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সাঈদুল হোসেন সাহেদ, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ময়মনসিংহ বিভাগের সভাপতি জনাব মোঃ শামসুল আলম, গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি জনাব মাহবুবুল আলম প্রামানিক, বাশিসের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ

মোহাম্মদ ফজর আলী, মোঃ আলাউদ্দিন ভূইয়া, মোঃ বজলুর রহমান, শাহনাজ সুলতানা, বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম (দেলোয়ার) এর প্রতিষ্ঠাতা আফজালুর রশিদ এবং মহাসচিব আলমগীর কবির, বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী মঞ্চের মহাসচিব আবুল বাশার নাদিম, বাংলাদেশ বেসকারি কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মজিবুর রহমান ও মহাসচিব বোদরুজ্জামান বাদল, বাংলাদেশ বেসরকারি অনার্স মাস্টার্স শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মোড়ল, মাধ্যমিক কারিগরি শিক্ষক পরিষদের মহাসচিব প্রকৌশলী আবুল বাশার, বাশিসের অতিরিক্ত মহাসচিব অরুপ কুমার সাহা, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মোঃ নাসির আহমেদ, যুগ্ম-মহাসচিব মোঃ মনসুর ইকবাল, সাহেদুল ইসলাম, প্রদীপ কুমার দেবনাথ, বাশিসের সহকারি মহাসচিব মোঃ মঈনুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হান্নান সরদার, প্রচার সম্পাদক এ বি সিদ্দিক, অর্থ সম্পাদক মোঃ শামসুল হক তরফদার, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সাইদুর রহমান, সমাজকল্যাণ সম্পাদক খান মোঃ মামুন হোসাইন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ইয়াসমিন বেগম, আইন বিষয়ক সম্পাদক এম এ মতিন, বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নজরুল ইসলাম খান, বাশিস কুড়িগ্রাম জেলার সভাপতি মোঃ হারুন উর রশিদ, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ লুৎফর রহমান, মোঃ আমির হোসেন, নরসিংদী জেলার সভাপতি মোঃ আমিনুল কবির ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, মানিকগঞ্জ জেলার সভাপতি মোঃ আইয়ুব খান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ খোরশেদ আলম, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সভাপতি উষা আলো চাকমা, বাশিস ময়মনসিংহ জেলার সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ, গাজীপুর জেলার সভাপতি মোঃ নুরুল ইসলাম, মুন্সিগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ বশির উল্লাহ, নারায়নগঞ্জ জেলার সভাপতি অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোবহান, কুমিল্লা জেলার সভাপতি প্রশান্ত কুমার সরকারসহ বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার শিক্ষক-কর্মচারী নেতৃবৃন্দ।

 

আপনার মতামত লিখুন :