পুলিশের ৩ সাক্ষীর জবানবন্দিতে সিনহা হত্যা

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় দায়ের করা পুলিশি মামলার তিন সাক্ষী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তাদের কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে হাজির করা হয়।

এর আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয় র‌্যাব-১৫। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া তিনজন সাক্ষী হলেন- টেকনাফের মারিশবুনিয়া এলাকার নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মো. আয়াছ। তৃতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ডের প্রথম দিনেই তারা জবানবন্দি দিলেন। র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ও সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে তাদের কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে হাজির করে তৃতীয় দফায় চারদিনের রিমান্ড আবেদন করে র‌্যাব। পরে আদালত তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সিনহা হত্যা মামলায় জড়িত সন্দেহে পুলিশের দায়ের করা মামলার ওই তিন সাক্ষীকে গত ১১ আগস্ট মারিশবুনিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি এবং রামু থানায় একটি মামলা করে।

এরপর গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় এখন পর্যন্ত ওসি প্রদীপসহ সাত পুলিশ সদস্য, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য ও টেকনাফ থানা পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীসহ মোট ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

এ দিকে, সিনহা হত্যা মামলায় ইতোমধ্যেই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তার এপিবিএনের তিন সদস্য, বরখাস্ত পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দদুলাল। তবে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এখনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।