শার্শার উলাশীতে আবারো ৪ দোকানে চুরি

প্রকাশিত : ১৭ আগস্ট ২০২০

মোঃ রাসেল ইসলাম,স্টাফ রিপোর্টার: যশোরের শার্শায় প্রতি দিনই চুরি হচ্ছে কোথাও না কোথাও। প্রতিদিন চুরি হওয়াতে উলাশী বাজারের সাধারন ব্যবসায়ী ও গ্রামের সাধারন মানুষের ঘুম হারাম হয়ে পড়েছে। চতুর চোর চক্র গভীর রাতে সংঘবদ্ধ ভাবে চুরি করলেও ধরা পড়ছে না। চোর চক্র থাকছে ধরা ছোয়ার বাহিরে। এক দিনের ব্যবধানে আবারো রবিবার রাতে উলাশী বাজারে ৪’টি দোকানে চুরি হয়েছে।

জানাগেছে, ১৬ আগষ্ট শনিবার দিনগত রাতে শার্শার উলাশী বাজারের দু’টি আড়ত’র ক্যাশ বাক্স ভেঙে ও সম্বন্ধকাঠি গ্রামের ৪টি বাড়ির ঘরের তালা ভেঙে নগদ টাকা চোরেরা নিয়ে গেছে। ১১ আগষ্ট রাতে উলাশীর গিলাপোল মোড়ে এক রাতে ৭টি দোকানে চুরি হয়েছে।এমন ঘটনায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সাধারন মানুষ।

উলাশী বাজারের আড়ত ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম খোকা জানান, তার আড়ত এর সাটার লোহার রড দিয়ে বেকিয়ে ভিতরে ঢুকে ক্যাশ বাক্স থেকে ব্যবসার দুই লক্ষ টাকা চোরেরা নিয়ে গেছে। অনুরুপ ভাবে উলাশী বাজারের হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী মহসিন জানান, তারও দোকানের সাটার বেকিয়ে ভিতরে ঢুকে ক্যাশ বাক্স ভেঙে সাড়ে ২২ হাজার টাকা ও দুটি গ্যাসের চুলা চোরেরা নিয়ে গেছে। অনুরুপ শাওন কফি সপের মোঃ শাওনের দোকানের সাটার ভেঙে নগদ সাড়ে ৬ হাজার টাকা ও ৫ প্যাকেক ব্যানচোন সিগারেট চোরেরা নিয়ে গেছে। এ ছাড়া চোর চক্র উলাশী বাজারের আব্দুল খালেকের চায়ের দোকানেও চুরি করেছে বলে জানা গেছে।

চুরির ঘটনা শুনে শার্শা থানার ওসি তদন্ত তারিকুল হাসান, এস আই ফারুক হোসেন, এস আই তারিকুল ইসলাম ও এস আই সুমন ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন।

চুরির ঘটনায় পুলিশ ঘটনা স্পরিদর্শন করলেও কাউকে চুরির অভিযোগে আটক করতে পারেনি। সাধারন ব্যবসায়ীদের ধারনা রাতের পাহারাদারদের ধরে জিজ্ঞাসা করলে চোর চক্রের সন্ধান বেরিয়ে আসবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উলাশী বাজার কমিটির সভাপতি জামাল উদ্দিন পিপুল ও সাধারন সম্পাদক আলমগীর কবির জানান চুরির বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও শার্শা থানা পুলিশকে অবহিত করেছি। তারা জানান চুরির বিষয়ে ১৮ আগষ্ট বিকাল ৫ টায় উলাশী বাজারে ব্যবসায়ীদের মিটিং ঢাকা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উলাশী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আয়নাল হক জানান,চুরির ঘটনা শুনেছি। তিনি বলেন মঙ্গলবার বিকালে উলাশী বাজারে ব্যবসায়ীদের নিয়ে বসা হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শার্শা থানার অভিসার ইনচার্জ (ওসি) বদরুল আলম খান জানান, চুরির ঘটনা শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে। চোর যেই হোক তাকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান। তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুন :