পর্যটনকে ঘিরেই চলছে রাখাইনদের জীবিকা: অপূর্ব সৌন্দর্যের লীলাভূমি কুয়াকাটা

প্রকাশিত : ২০ জুলাই ২০২০

এক সময় আদিবাসী রাখাইন সম্প্রদায়ের হাত ধরেই সাগরকন্যা কুয়াকাটার জন্ম। এখন সেই কুয়াকাটার পর্যটনকে ঘিরেই চলছে অধিকাংশ রাখাইন পরিবারের সংসার। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শুধু সংখ্যাই নয়, হারাতে বসেছে তাদের সংস্কৃতি। কুয়াকাটার রাখাইন সম্প্রদায়কে ঐতিহ্য হিসেবে বিবেচনা করে তাদের টিকিয়ে রাখতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন বলে জানালেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

জনশ্রুতি আছে আঠারো শতকের মাঝামাঝি সময়ে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্য থেকে বিতাড়িত হয়ে দুই শতাধিক রাখাইন পরিবার নৌকা যোগে এসে আশ্রয় নেয় এ সাগর পাড়ে। গড়ে উঠে মানববসতি। আর জনবসতির অপরিহার্য সুপেয় পানির জন্য খোঁড়া কুয়া থেকে এলাকার নামকরণ করা হয় “কুয়াকাটা”।

এরপর এ সমুদ্র সৈকতকে কেন্দ্র করেই আস্তে আস্তে পর্যটন এলাকাতে পরিণত হয় সাগরকন্যা কুয়াকাটা। আর তার প্রাণ হয়ে ওঠে এখানকার রাখাইন সম্প্রদায়। গড়ে উঠে নতুন নতুন রাখাইন পল্লী ও মার্কেট। পর্যটকদের কাছে বিপুল চাহিদা থাকায় নিজেদের হাতে তৈরি কাপড় ও বিভিন্ন জিনিষ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতে শুরু করে তারা। তবে সময়ের পালাক্রমে এলাকায় বাঙালিরা প্রবেশ করায় কমতে শুরু করে রাখাইনদের আধিপত্য।

রাখাইনদেরকে এলাকার প্রধান আকর্ষণ বলে, তাদের টিকিয়ে রাখতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দাবি জানালেন এসডিএ’র নির্বাহী পরিচালক। জেলার শীর্ষ কর্মকর্তা জানালেন, রাখাইনদের উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে কুয়াকাটার ২৪টি পাড়ায় এক হাজার ৭শ’ রাখাইন সদস্য বসবাস করছে।

আপনার মতামত লিখুন :